এয়ার ইন্ডিয়া বিমান বিপর্যয়ের তদন্তে প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলল পাইলটদের সংগঠন। এই প্রাথমিক রিপোর্টের মাধ্যমে পাইলটদের দিকে দায় চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে মনে করছে ‘এয়ারলাইন পাইলট্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া’ (এএলপিএ)। তাদের দাবি, স্বচ্ছতার বজায় রাখতে শুধুমাত্র পর্যবেক্ষক হিসাবে হলেও পাইলট সংগঠনকে তদন্তে যুক্ত করা হোক।
বিমান বিপর্যয়ের প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিবৃতি দিয়েছেন সংগঠনের ডিরেক্টর স্যাম থমাস। সেখানে তিনি লিখেছেন, “তদন্তের ভঙ্গি এবং অভিমুখ একতরফা ভাবে পাইলটদের ত্রুটির দিকে ইঙ্গিত করছে। আগে থেকে এমন কিছু ধরে নেওয়ার বিরোধিতা করছি। আমরা চাই একটি ন্যায্য, তথ্য-ভিত্তিক তদন্ত হোক।” তাঁর দাবি, তদন্তের যে প্রাথমিক রিপোর্টটি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে কারও স্বাক্ষর নেই। এমন একটি রিপোর্ট কী ভাবে সংবাদমাধ্যমের হাতে পৌঁছে গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
তদন্ত প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলেও বিবৃতিতে অভিযোগ তুলেছে এএলপিএ। তাদের দাবি, তদন্তে গোপনীয়তা রাখার কারণে এটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কেন যোগ্য এবং অভিজ্ঞ পাইলটদের এখনও তদন্ত প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন পাইলটদের ওই সংগঠনের।
বিমান দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা ‘এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’ (এএআইবি) শনিবার তাদের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ১৫ পাতার ওই রিপোর্টে বিমানের ককপিটে শেষ মুহূর্তের কথোপকথনের কিছু অংশও প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে উঠে এসেছে, বিমানের জ্বালানি সুইচ আচমকা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তা নিয়ে দুই পাইলটের মধ্যে কথাও হয়েছিল। তখন পাইলটদের মধ্যে এক জন অপরকে প্রশ্ন করছেন, “কেন তুমি বন্ধ করে দিলে?” অপর জন উত্তর দেন, “আমি করিনি।” তবে কোন পাইলট কী বলেছিলেন, তা প্রাথমিক রিপোর্টে স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন:
যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এই রিপোর্ট নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কে রামমোহন নাইডুর কথায়, “এটির মধ্যে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। তাই এই রিপোর্টটি সম্পর্কে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। প্রাথমিক রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। কিন্তু পোক্ত কিছু আসার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।” তিনি বলেন, “আমাদের এই বিষয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছোনো উচিত বলে আমি মনে করছি না। আমার বিশ্বাস, গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ভাল পাইলট এবং বিমানকর্মীরা আমাদের (ভারতের) কাছে রয়েছেন। তাঁরা হলেন অসামরিক বিমান পরিবহণের মেরুদণ্ড। তাঁরা অসামরিক বিমান পরিবহণের প্রাথমিক সম্পদ।’’