Advertisement
১৪ জুন ২০২৪
Parliament Security Breach

সংসদ হানায় ‘প্ল্যান এ’ এবং ‘প্ল্যান বি’ দুটোই প্রস্তুত ছিল, কী সেই পরিকল্পনা, জানালেন ললিত

১৩ ডিসেম্বর ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ললিত। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

ললিত ঝা (বাঁ দিকে)। সংসদ হানার সেই ঘটনা। ছবি: সংগৃহীত এবং পিটিআই।

ললিত ঝা (বাঁ দিকে)। সংসদ হানার সেই ঘটনা। ছবি: সংগৃহীত এবং পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৪৪
Share: Save:

সংসদ ভবনে হানা দেওয়ার জন্য দু’রকমের পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রের দাবি, জেরায় এমনই জানিয়েছেন এই হানার পাণ্ডা ললিত ঝা। ১৩ ডিসেম্বর ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ললিত। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারির পর থেকেই জেরা চলছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, জেরা চলাকালীন তদন্তকারীদের ললিত জানিয়েছেন, সংসদে হানার জন্য ‘প্ল্যান এ’ এবং ‘প্ল্যান বি’ বানিয়ে রাখা হয়েছিল। যদি ‘প্ল্যান এ’ ব্যর্থ হত, তা হলে ‘প্ল্যান বি’ প্রয়োগ করা হত। সংসদের ভিতরে দু’জন নয় তিন জনের হানা দেওয়ার কথা ছিল। সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি ছাড়াও তৃতীয় ওই ব্যক্তি কে, জেরায় তা জানতে পেরেছে পুলিশ। তৃতীয় ওই ব্যক্তি হলেন মহেশ। কিন্তু আচমকাই সেই পরিকল্পনা বদলানো হয়েছিল।

পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় তারা জানতে পেরেছে যে, সংসদে হানা দিয়ে পালানোর পর কোথায় আশ্রয় নেওয়া হবে, সেটা নিয়ে একটা ধন্দ তৈরি হয়েছিল। তখনই স্থির হয়, দু’জন সংসদের ভিতরে ঢুকবেন, দু’জন বাইরে থাকবেন। আর হানাদারির কাজ শেষে চার জন রাজস্থানের নাগৌরে মহেশের বাড়িতে আশ্রয় নেবেন। তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করবেন মহেশ। আর তার পরই মহেশের দিল্লি আসার বিষয়টি বাতিল হয়ে যায়। তা ছাড়া সাগর এবং মনোরঞ্জনের কাছে সংসদে ঢোকার জন্য পাস ছিল। তাই দু’জনই সংসদের ভিতরে ঢুকবেন বলে স্থির হয়েছিল। আর ট্রান্সপোর্ট ভবনের কাছ থেকে রংবোমা জ্বালিয়ে সংসদের দিকে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অমল এবং নীলমকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ‘প্ল্যান বি’ অনুযায়ী, যদি নীলম এবং অমল সংসদ ভবনের কাছে পৌঁছতে না পারেন, তা হলে তখন অন্য দিক দিয়ে কৈলাস এবং মহেশ রংবোমা জ্বালিয়ে স্লোগান দিতে দিতে সংসদের দিকে এগিয়ে যাবেন। কিন্তু ১২ ডিসেম্বর রাতে যখন হরিয়ানার গুরুগ্রামে ভিকির বাড়িতে মহেশ এবং কৈলাস এসে পৌঁছতে পারেননি, তখন স্থির হয় এই কাজ করবেন নীলম এবং অমল।

দিল্লি থেকে পালিয়ে রাজস্থানে পৌঁছলে সকলকে আশ্রয় দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছিল মহেশের উপর। মহেশ পেশায় এক জন দিনমজুর। তাঁর মাসতুতো ভাই কৈলাস। পুলিশ জানিয়েছে, মহেশ তাঁর পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ললিতের জন্য গেস্ট হাউসের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। ললিত, মহেশ এবং কৈলাস অনবরত পুরো ঘটনার খবর নিচ্ছিলেন রাজস্থান থেকে। এই ঘটনায় সাগর, মনোরঞ্জন, নীলম, অমল, ভিকি এবং ললিত সকলেই গ্রেফতার হয়েছেন। মহেশকে আটক করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Parliament Security Breach Lalit Jha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE