Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
National News

মন্তব্যে অনড় থেকেও কৌশলী রাহুল

এই পরিস্থিতিতে আজ কর্নাটকের প্রচারের শেষ দিনে রাহুলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘কর্নাটকের ভোট রাহুল গাঁধীর বিষয় নয়। এখানে লড়াই সিদ্দারামাইয়া আর ইয়েদুরাপ্পা-রেড্ডি ভাইদের মধ্যে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কিছু বলার নেই বলেই তিনি মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছেন। আমি সেটা হতে দেব না।’’

রাহুল গাঁধী।

রাহুল গাঁধী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৮ ০৩:৫৫
Share: Save:

লোকসভা ভোটে কংগ্রেস সবচেয়ে বড় দল হলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন— এই মন্তব্য থেকে পিছু হটলেন না রাহুল গাঁধী। তবে আজ এ নিয়ে সরাসরি কিছু না বলে বিষয়টি সুকৌশলে ঘুরিয়ে দিলেন।

দু’দিন আগেই কর্নাটকে রাহুল তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন রাহুল। তার পর গত কাল কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী ওই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিরোধী জোটের নেতাদের তাতানোর চেষ্টা করেন। মোদীর বক্তব্য, রাহুলের ঔদ্ধত্য স্পষ্ট হয়েছে ওই মন্তব্যে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির সক্রিয়তার পরে শরদ পওয়ারের মতো বিরোধী জোটের নেতা রাহুলকে প্রকাশ্যে পরামর্শ দেন, এখনই এ ধরনের কথা বলার সময় আসেনি। ভোটে লড়ে সরকার গড়ার অবস্থায় আসার পরে এ নিয়ে অঙ্ক কষা যাবে।

এই পরিস্থিতিতে আজ কর্নাটকের প্রচারের শেষ দিনে রাহুলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘কর্নাটকের ভোট রাহুল গাঁধীর বিষয় নয়। এখানে লড়াই সিদ্দারামাইয়া আর ইয়েদুরাপ্পা-রেড্ডি ভাইদের মধ্যে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কিছু বলার নেই বলেই তিনি মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছেন। আমি সেটা হতে দেব না।’’ তাঁর এই মন্তব্যের পরে এক কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘রাহুলকে অপরিণত বলেন মোদী। কিন্তু আজ রাহুলের জবাব অত্যন্ত পরিণত। সঙ্গত কারণেই নিজের মন্তব্যে অনড় থেকে উল্টে বল ঠেলে দিলেন মোদীর কোর্টে।’’

কংগ্রেস জানে, রাহুলের মন্তব্যে বিরোধী নেতাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া হবে। আর তারই সুযোগ নেবেন মোদী। সে কারণে আজ আহমেদ পটেল বলেন, ‘‘সব কিছু নির্ভর করছে কে কত আসন পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রার্থী রাহুল গাঁধী। এর মধ্যে ঔদ্ধত্যের কিছু নেই। আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হলে অন্য শরিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে।’’

কংগ্রেস নেতারা মনে করাচ্ছেন, রাহুল এই প্রথম এমন কথা বলেননি। গত সেপ্টেম্বরেই ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রাহুল বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হতে তিনি তৈরি। এ বারেও ভেবেচিন্তেই মন্তব্য করেছেন, যাতে ভোটের মধ্যে কর্নাটকে দলের নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা যায়। একই কারণে গুজরাত ভোটের মধ্যেই রাহুলকে সভাপতি করা হয়েছিল। কংগ্রেসের অনেকে এটাও বলছেন, ওই মন্তব্য করে বিরোধী জোটের অনেককেও বার্তা দিলেন রাহুল। বিশেষ করে যাঁরা এখনও রাহুলের নেতৃত্ব মানতে চাইছেন না। তিনি বুঝিয়ে দিলেন, পরের ভোটে লড়াইটা মোদী বনাম রাহুল।

মোদীর অস্বস্তি বাড়িয়ে এ দিন কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপির শরিক শিবসেনা। তারা বলেছে, প্রত্যেক ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হতে চাওয়ার অধিকার আছে। মোদী নিজেকে ‘প্রধান সেবক’ বলেন। বাকি ‘সেবক’দের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন থাকতে পারে না?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE