স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আরএসএস নেতাদের কাছে গিয়ে সরকারি কাজের সাফাই দিচ্ছেন। নিজে স্বয়ংসেবক হওয়ার গর্ববোধ করছেন। তাঁর এক ডজন মন্ত্রীও মন্ত্রকের কাজের বিবরণ দিচ্ছেন। ফলে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপরে আরএসএসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, সরকারের প্রথম ১৪ মাসে অসন্তোষ বেড়েছে বলে জানিয়েছে সঙ্ঘ। দিল্লিতে বিজেপি ও সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠকের আজই ছিল শেষ দিন। আজ ওই বৈঠকে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। আরএসএসের তরফে জানানো হয়েছে, মোদী সরকার ভাল উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ করছে। কিন্তু সরকারের প্রথম ১৪ মাসে দেশে অসন্তোষের পরিমাণই বেশি।
কেন? এক, যে আশা-প্রত্যাশা নিয়ে মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, এখন তাতে ভাটা এসেছে। দুই, দেশের আর্থিক হাল খারাপ হয়েছে। তিন, পশ্চিমের মডেল অনুকরণ করতে গিয়ে দেশের অর্থনীতি বিভ্রান্তির শিকার হয়েছে। চার, গ্রামের উন্নয়নে আরও জোর দেওয়া উচিত। পাঁচ, রোজগার, শিক্ষা ও চিকিৎসা এখনও সকলের কাছে পৌঁছয়নি। ছয়, শিক্ষায় আরও ভারতীয়করণ দরকার। সাত, পূর্ণ সাক্ষরতা দ্রুত আসা উচিত। আট, শিক্ষালাভের খরচ বেশি হলে
চলবে না। সকলের কাছে তা পৌঁছতে পারে। বন্ধ করতে হবে শিক্ষার ব্যবসায়ীকরণ। নয়, ওবিসিদের প্রতিযোগিতা বন্ধ করে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের স্বাভিমান বাড়াতে হবে।
তবে সরকারের কাজে কি কোনও ইতিবাচক দিকই দেখা যাচ্ছে না?
সঙ্ঘের এক নেতা জানাচ্ছেন, অবশ্যই দেখা যাচ্ছে। মোদীর পাকিস্তান নীতিতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে সঙ্ঘের। তাদের মতে, পাকিস্তান-বাংলাদেশ ভারতেরই অঙ্গ। সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের মাধ্যমে সেই সম্পর্ক ভাল করতে হবে। মোদীর বিদেশনীতির সঙ্গে নিজেদের অখণ্ড ভারতের ভাবনাকে মেলাতে চেয়েছেন আরএসএস নেতৃত্ব। তাদের মতে, পাকিস্তান-বাংলাদেশ ভারতেরই অঙ্গ। সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের মাধ্যমে সেই সম্পর্ক ভাল করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy