সবচেয়ে বেশি দিন মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকার নিরিখে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণীকে ছাপিয়ে গেলেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এই কথা আজ এনডিএ-র বৈঠকে মনে করিয়ে দিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বললেন, ‘‘আরও অনেক পথ বাকি।’’
বিরোধীরা বলছেন, মোদীর এই মন্তব্য যাঁর রক্তচাপ বাড়াল, তিনি আর কেউ নন, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দলের মধ্যে অনেকেই তাঁকে ২০২৯ সালের লোকসভা ভোটে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে দেখছেন।
সংসদের বাদল অধিবেশন কার্যত অচল হয়ে রয়েছে। এই আবহে আজ প্রায় এক বছর পরে এনডিএ-র বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সংসদীয় লাইব্রেরি কক্ষের সভাঘরে মোদী প্রবেশ করা মাত্রই ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনি তুলে তাঁকে স্বাগত জানান বিজেপি ও শরিক দলের সাংসদেরা। অপারেশন সিঁদুর ও অপারেশন মহাদেবের সাফল্যের জন্য মোদীকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা।
পরে অমিত শাহের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে মোদী জানান, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে অমিত শাহ (২২৫৮ দিন) লালকৃষ্ণ আডবাণীকেও (২২৫৬ দিন) ছাপিয়ে গিয়েছেন। দ্বিতীয় মোদী সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের মতো বিতর্কিত বিল আনার কারিগর ছিলেন শাহ। বিজেপি সূত্রের মতে, আজ মোদী নিজের বক্তব্যে তাঁর প্রধান সেনাপতিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘‘এ তো সবে শুরু।’’ এর পরে তিনি যোগ করেন, ‘‘এখনও অনেক পথ চলা বাকি।’’ তবে সেটা শাহের জন্য না কি দলের জন্য, তা স্পষ্ট করেননি মোদী। কিন্তু আজ যে ভাবে তিনি কিছুটা নজিরবিহীন ভাবে শাহের প্রশংসা করলেন, সেটা সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসাবে তাঁর পছন্দের ইঙ্গিতই দিয়ে রাখল বলে মনে করছেন বিরোধীরা।
পাশাপাশি আজ বিরোধী শিবির ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর ভূমিকার সমালোচনা করেন মোদী। রাহুলকে নিয়ে বলেন, ‘‘(উনি) অনেক কিছুই বলতে থাকেন। মাঝেমধ্যেই ছেলেমানুষি করে ফেলেন। সুপ্রিম কোর্টও ওঁকে তিরস্কার করেছে। গোটা দেশ ওঁর ছেলেমানুষির সাক্ষী থেকেছে।’’ বিরোধী দলগুলির ব্যাপারে মোদীর বক্তব্য, ‘‘অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিরোধীরা নিজেদের পায়ে কুড়ুল মেরেছেন। এমন আলোচনা আরও হোক।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)