যোগী আদিত্যনাথ। —ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গার ও তার দলবলের বিরুদ্ধে প্রথমে গণধর্ষণের অভিযোগ। তার পর মুখ্যমন্ত্রীর নিবাসের সামনে নিপীড়িতার আত্মহত্যার চেষ্টা। পরে তাঁর বাবার রহস্যজনক মৃত্যু। সব মিলিয়ে উত্তাল লখনউ। ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী ডেকে পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। এত দিন দু’জনের সম্পর্কে যে টানাপড়েন ছিল, এ বার তার পারদ এক প্রস্ত চড়ল।
উন্নাওয়ের গণধর্ষণের ঘটনা যে ভাবে মোড় নিয়েছে, তাতে চরম অস্বস্তিতে যোগীও। বিরোধীদের আক্রমণের আঁচ সামলাতে হচ্ছে তাঁকেই। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের আইএএস অফিসার নৃপেন্দ্র মিশ্র মুখ্যমন্ত্রীকে ওই ঘটনায় বিশেষ তদন্ত শুরু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বার্তাও জানিয়ে দিয়েছেন। সেই মতো বিশেষ তদন্তকারী দল ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও বিজেপির অভিযুক্ত বিধায়ক দল বা পরিষদীয় পদ থেকে ইস্তফা দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
অমিত শাহ কাল লখনউ যাচ্ছেন।
তিনিও রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। যোগী প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে মোদীর পছন্দের প্রার্থী ছিলেন না। প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের প্রার্থী ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূমিহার নেতা মনোজ সিন্হা। মূলত সংঘাতের চাপেই শেষ পর্যন্ত যোগীকে মেনে নেন মোদী।
এখন রাজ্যে দলিতদের বিদ্রোহ মাথাচাড়া দিয়েছে। অখিলেশ-মায়াবতী ক্রমশ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কেন্দ্র গোরক্ষপুর-সহ উপনির্বাচনে হার। এরই মধ্যে যোগী তাঁর ব্যক্তিগত প্রচারে বিপুল অর্থ ব্যয় করছেন। উত্তরপ্রদেশের বাইরে তিনি এখন হিন্দুত্বের আরও এক পোস্টার বয়। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম নিয়েও সঙ্ঘ পরিবারে আলোচনা হয়।
এই অবস্থায় রাজ্যের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে মোদী-যোগী বিরোধ এখন চরমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy