E-Paper

কেয়ার গন্ধ

ট্যুরিস্ট গাইড অসিতকুমার চলে এসেছেন, অবাক হয়ে দেখছেন, ভোরের আলোয় দেবীর মতো দেখাচ্ছে তাঁকে।

অভিজিৎ চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৫:৫৫
ছবি: সৌমেন দাস।

ছবি: সৌমেন দাস।

পূর্বানুবৃত্তি: শরীরটাকে মূলধন করেই প্রচুর টাকাপয়সার মালিক হতে চায় পল্লবী। দেবল তাকে শেষ পর্যন্ত ফ্ল্যাট দেবে কি না, সেই চিন্তাতেই অস্থির লাগে ওর। পল্লবীর ফোনে ফোন আসে দেবলের স্ত্রীর। পল্লবীকে খারাপ ভাষায় আক্রমণ করে সে। সেই বাক্যবাণের বিরুদ্ধে সুবিধে করতে পারে না পল্লবী। অন্য দিকে, ছেলেকে নিয়ে গাড়ি করে জ্যোৎস্নাদেবীর বাড়ি এসেছেন দীপঙ্কর। সেখান থেকে মাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন বিষ্ণুপুরের উদ্দেশ্যে। সারা রাস্তা নাতিকে গল্প শোনাতে শোনাতে চলেছেন জ্যোৎস্নাদেবী। দীপ মুগ্ধ হয়ে শুনছে ইতিহাসের গল্প, রাজারাজড়াদের গল্প, নানা বিচিত্র স্মৃতিকথা। আর এক দিকে রিহার্সাল শুরু হয়ে গেছে জনমেজয়-পানসদা-ফটিকদের। ম্যাকবেথের আগে চলে আসছে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে হওয়া ঐতিহাসিক সন্ন্যাসী বিদ্রোহের কাহিনি।

ফোন ছাড়ার পর পল্লবীর বেশ শরীর খারাপ লাগল। রান্নাঘরে গিয়ে দেখল, ভাত পুড়ে গেছে। ডিমটাও ফেটে গেছে। সেই পোড়া ভাত আর ফেটে যাওয়া ডিম গাদা গাদা নুন দিয়ে গোগ্রাসে খেতে লাগল পল্লবী। তবে সে ফ্ল্যাটের জন্য লড়ে যাবে। শরীরটা সে এমনি এমনি নষ্ট করেনি।

রাতে ঘুম হল না। দেবলকে ছাড়া যাবে না। দেবলের বৌ সব রকমের হুমকি দিয়ে গেল। নারীর এই শরীর ছাড়া পল্লবীর কী-ই বা আছে! সে যদি বিষকন্যা হত! তার চুম্বনে লুটিয়ে পড়ত প্রতারক।

ঘুম এল অবশেষে। সেই বিষকন্যার রূপ এল স্বপ্নে। পল্লবী যেন নিজের মেয়েবেলায় ফিরে গেছে। তার মাতামহ শরীরে প্রতিদিন বিষ প্রবেশ করাচ্ছেন আর বলছেন, ‘স্বৈরিণী, তুই আমার বিষকন্যা।’

রাজ্যের নাম পুষ্কনাবতী। রাজার নাম অষ্টক। রাজার দূত এসে সংবাদ দিল, বিষকন্যা প্রস্তুত। পারস্যরাজ দারায়ুসকে পরাস্ত করে করে এগিয়ে আসছেন গ্রিক বীর আলেকজ়ান্ডার। বালিকা এখন পূর্ণ যুবতী। অসাধারণ সুন্দরী। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। আত্মসমর্পণ করল তক্ষশীলা। আলেকজ়ান্ডারের একমাত্র দুর্বলতা নারী। অশ্বক জাতির রাজারা একে একে পরাজিত হচ্ছেন। পরাজিত রাজারা এলেন রাজা সিকন্দরের কাছে। নির্বাচিত হল পাঁচ সুন্দরী। সবাই বিষকন্যা। একে একে গ্রিসের সৈনিক, সেনাধ্যক্ষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। শেষ শিকার আলেকজ়ান্ডার। রূপে মুগ্ধ তিনি স্বৈরিণীর। চুম্বনের জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। সেই ক্ষীণকটির রূপে সম্রাট পাগলপারা। কিন্তু গুরু অ্যারিস্টটলের চোখে ধরা পড়ল বিষকন্যা।

তরবারির আঘাতে ছিন্নভিন্ন সুন্দরীর শরীর।

ঘুমের মধ্যে আতঙ্কে চিৎকার করে উঠল পল্লবী। ডাক্তার দেখাতে হবে। বিষকন্যার স্বপ্ন মিথ্যে।

এ দিকে ট্যুরিজ়ম গেস্ট হাউসে রাতটা কাটিয়ে ওরা খুব ভোরে বেরোল বিষ্ণুপুর দেখার জন্য।

জ্যোৎস্নাদেবী বললেন, “দীপঙ্কর, কোথাও ভোরের আরতি দেখতে পাব?”

ট্যুরিস্ট গাইড অসিতকুমার চলে এসেছেন, অবাক হয়ে দেখছেন, ভোরের আলোয় দেবীর মতো দেখাচ্ছে তাঁকে।

অসিত বলল, “মা, ভোরের আরতি হয় অঘ্রানে ও বৈশাখে। কখনও কখনও মদনমোহন আর মদনগোপালের যেখানে রাধাকৃষ্ণ আছেন, সেখানে আরতি হয়। এটা তো শ্রাবণ মাস, এই সময় হয় না।”

জ্যোৎস্নাদেবী বললেন, “বাবা অসিত, মদনগোপালে তো শুধু কৃষ্ণই থাকেন। তাই না!”

অসিত বলল, “হ্যাঁ মা। তবে এখন লালবাঁধে সূর্যোদয় দেখতে পারেন। একটি বিয়োগান্তক অবৈধ প্রণয়কাহিনি রয়েছে লালবাইকে ঘিরে। সত্যি-মিথ্যে জানি না, কোনও ঐতিহাসিক সূত্র নেই।”

দীপ থাকায় এই বিষয়ের ইতিহাসে বিশদে গেলেন না তিনি। এ ছাড়াও কিছুটা জানেন, কারণ এক সময় লালবাই যাত্রা করার কথা হয়েছিল।

ওঁরা লালবাঁধে এলেন। সবে সূর্যোদয় হচ্ছে। চমৎকার আলোর রেণু ছড়িয়ে রয়েছে জলে। তিন জনেই বিবস্বানকে প্রণাম করলেন।

চা-পানের পর ওঁরা এলেন রাসমঞ্চে। তখনও মন্দির খুলতে সামান্য বিলম্ব হচ্ছিল।

গাইড অসিত বলল, “মা, আগে বিষ্ণুপুরের যাবতীয় বিগ্রহ জমা করে রাজা রানিকে নিয়ে রাস খেলতেন। তবে আমাদের এখানে এক সময় ছিল শাক্তমতে উপাসনা। ছিলেন মা মৃন্ময়ী, মা সর্বমঙ্গলা। আর একটু এগিয়ে গেলেই নতুন মহলে শ্মশানকালীর মন্দির, যেখানে এক সময় ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব এসেছিলেন। সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে ছিল তান্ত্রিক, ভৈরবীদের সাধনার ক্ষেত্র।”

রাসমঞ্চের তোরণ খোলার পর গাইড বলল, “এখানে ১০৮টি দরজা রয়েছে। আপনারা একটু উঠে দেখুন।”

ওঁরা রাসমঞ্চে তিন জনে মিলে ছবিও তুললেন। এর পর এলেন শ্যাম-রাইয়ের মন্দিরে। অসিত শিলাফলক থেকে ইতিহাস পড়ে শোনাল। এর পর ওঁরা এলেন জোড়বাংলোয়। মাঝখানে অসিত দেখাল গুমঘর, যাকে রাজাদের কয়েদখানা বলা যায়। অসিত এখানে নিজেই কিছু ছবি তুলে দিল।

এর পর ওঁরা লালজিউ মন্দির অর্থাৎ রাজদরবার হয়ে এলেন মা মৃন্ময়ীর মন্দিরে। প্রণাম করে ওঁরা খুব তাড়াতাড়ি এলেন গড় দরজায়।

অসিত বলল, “মা, এখান থেকে একটু এগোলে পাথরের রথ দেখা যেতে পারে।”

জ্যোৎস্নাদেবী বললেন, “বাবা, রোদের তাত বাড়লে ফিরে যাব। সত্যিই মন্দিরনগরী। যাত্রার স্টেজে নকল রানি সাজতে সাজতে বেলা কেটে গেল। কখনও হিন্দু রানি, কখনও বা জাহানারা, কখনও আবার সুলতানা রিজিয়া। এ ভাবে করতে করতে এক দিন দেখলাম সবটাই ফাঁকা। সবটাই রাংতার সজ্জা, সত্যি কিছু নয়।”

“কেন মা, আপনার নাম কত শুনেছি। আপনাকে দেখব বলে কয়েক রাত ঘুম হয়নি আমার।”

“আমার কথা তোমায় কে বলল?”

“জনমেজয়দা।”

চমকে উঠলেন জ্যোৎস্নাদেবী। বড্ড চেনা নাম।

“তিনি কি কখনও কর্ণের পার্ট করেছিলেন শিল্পীতীর্থের হয়ে?”

দীপঙ্কর বললেন, “উনি আমাদের সার্ভেয়ার, তোমার সঙ্গে দেখা করবেন বলে পুরুলিয়াথেকে আসছেন।”

জ্যোৎস্নাদেবী বললেন, “তা হলে ওঁকে দাঁড় করিয়ে রাখাটা অনুচিত হবে।”

আসলে শিল্পীর কাছেই তো শিল্পীর মর্যাদা। অসূয়া আছে, অনেক অন্যায় আছে, তবু কোথাও রয়েছে ভালবাসার ফল্গুধারার মতো কিছু স্মৃতি।

জ্যোৎস্নাদেবী বললেন, “এ বার আমরা ফিরব।”

অসিত বলল, “মা, গনগনি যাবেন না?”

“পরে আবার আসব। আমার ছেলে, নাতি নিয়ে এলে তোমাদের টানে আবার আসছি।”

অসিত প্রণাম করল।

ট্যুরিস্ট লজে এসে দেখলেন, জনমেজয় দাঁড়িয়ে আছেন। হেসে বললেন, “চিনতে অসুবিধে হচ্ছে না, তবে তোমার সামনের চুলগুলি একেবারেই নেই।”

জনমেজয় প্রণাম করে বললেন, “মা, মন্দিরের দেবী এখন তো আমার সামনে এসে রয়েছেন।”

“ও রকম বলতে নেই বাবা। আমি পাপে আকীর্ণ এক জন সামান্য অভিনেত্রী। রূপ দিয়েছিলেন ভগবান, অভিশপ্ত জীবন দেবেন বলে।”

জনমেজয় বললেন, “মা, ও রকম বলবেন না, শুনতে কষ্ট হচ্ছে।”

“তুমি না বলেছিলে, ন চৈতৎ শ্রদ্ধদে বাক্যম্। আপনার কথামতো চললে আমার অধর্ম হবে।”

হো হো করে হেসে উঠলেন জনমেজয়। মহামতি কর্ণ বলেছিলেন এ কথা।

তার পর জনমেজয় বললেন, “মহাভারতের যুদ্ধের আগে আপনি এসেছেন আমার কাছে। অমাবস্যার রাত। ঝিঁঝি ডাকছে। আমি বললাম, রাধেয়োঽম্ আধিরথিঃ কর্ণস্ত্বম্ অভিবাদয়ে।”

জ্যোৎস্নাদেবী বললেন, “তুমি বলেছিলে, আমি মাতা রাধার পুত্র। অধিরথের পুত্র।”

“আপনি তো রাধার অভিনয়ও করেছেন!”

“পাঞ্চালীও করেছি। যাজ্ঞসেনী।”

জনমেজয় বললেন, “জানি মা।”

জ্যোৎস্নাদেবী বললেন, “তুমি কিন্তু আমাদের সঙ্গে খাবে!”

দীপঙ্করও বললেন। দীপকে বললেন, “কাকাকে প্রণাম করো।”

দীপ প্রণাম করল।

ভোরেই স্নান সেরেছিলেন সকলে। জ্যোৎস্নাদেবী বললেন, “কর্কটরাশিতে সূর্যদেব প্রবেশ করছেন। এখন বিবস্বানের দক্ষিণায়ন। শুভ ঋতু আর অনাগত নয়। আজ আমরা সকলে নিরামিষ খাব। দীপ, পারবে তো?”

দীপ বলল, “হ্যাঁ, ঠাম্মা।”

খাওয়ার পর অস্তমিত সূর্যকে সাক্ষী রেখে ওঁরা বেরিয়ে পড়লেন। জনমেজয় স্টেশনে চলে গেলেন পুরুলিয়ার ট্রেন ধরতে।

পথে যেতে যেতে জয়পুর জঙ্গল পড়ল। তার পর কোতুলপুর হয়ে গাড়ি ছুটল আরামবাগ।

জ্যোৎস্নাদেবী জিজ্ঞেস করলেন, “ভাই, আমরা কলকাতা কখন পৌঁছব?”

ড্রাইভার বলল, “রাত আটটা নাগাদ হবে মা।”

জ্যোৎস্নাদেবী বললেন, “দীপঙ্কর, তোমার বৌকে আনলে না কেন?”

“ও আসত না।”

“একা একা ভয় পাবে না তো?”

দীপঙ্কর বললেন, “মা, আজ রাতে আমার বাড়ি থাকতে হবে, ওটা তো তোমারও বাড়ি। তাই না?”

জ্যোৎস্নাদেবী হেসে বললেন, “তা-ই হবে।”

ভাবছিলেন, জগৎসংসার কেমন যেন পুতুলখেলার মতো। একটা রঙ্গমঞ্চ। কখনও আলো, কখনও অন্ধকার। কত কোলাহল, আবার নৈঃশব্দ্য, শুধু কেয়া ফুলের গন্ধ।

দীপ খুব খুশি, ঠাম্মা যাবে। আরও, আরও গল্প শুনবে রাতে।

ওঁরা পৌঁছে গেলেন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ। ডোরবেল দিতে হল না, দরজা হাটখোলা।

জ্যোৎস্নাদেবী বললেন, “বৌমা কোথায়?”

দীপও বলল, “মা কোথায় গেল?”

কিছুই জানেন না দীপঙ্কর। আবার কোন নতুন খেলায় মেতেছে পল্লবী!

যা-ই হোক, জ্যোৎস্নাদেবী ঘর গুছিয়ে নিলেন। দীপঙ্কর চট করে বাজার থেকে আনাজ নিয়ে এলেন। রান্নাঘর গিয়ে অবাক হলেন জ্যোৎস্নাদেবী। সব কিছু খুব এলোমেলো, গৃহের লক্ষ্মীর সংসারে মন নেই একেবারে। কেমন যেন মতিচ্ছন্ন অবস্থা।

রান্না হয়ে গেল। অনেকটা সময় পর পল্লবীর জন্য অপেক্ষা করতে করতে রাত এগারোটা নাগাদ খেলেন ওঁরা। পল্লবীর খাবারটা ঢাকা দিয়ে রাখলেন।

অনেক রাতে পল্লবী ফিরল। মুখ সাদা, বিবর্ণ। চোখের তলায় ক্ষতের মতো জেগে থাকা কালি।

দীপঙ্কর বললেন, “খেয়ে নাও, মা সব রান্নাকরে রেখেছেন।”

পল্লবী যেন সব কিছু ভুলে গেছে, পুরনো সেই সব কুৎসিত আচরণ, যা নিয়ে খুব ভয়েই ছিল দীপঙ্কর। দীপও।

পল্লবী এসে প্রণাম করল জ্যোৎস্নাদেবীকে। বলল, “এখনও কী সুন্দরী আপনি! মনে হচ্ছে সাক্ষাৎ দেবী সরস্বতী।”

“খেয়ে নাও মা। আমি তোমার ঘরে শোব।”

পল্লবী বাধ্য মেয়ের মতো বলল, “তা-ই হবে মা। তবে আমি খুব ক্লান্ত। খুব তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ব।”

পল্লবী খেয়ে পাশে এসে শুয়ে পড়ল। জ্যোৎস্নাদেবী মাথা টিপে দিতে দিতে বললেন, “তুমিও তো সুন্দর।”

পল্লবী কিছু বলতে যাচ্ছিল, তিনি বললেন, “এখন থাক মা, তুমি ঘুমোও। পরে কখনও শুনব।”

পরম নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ল পল্লবী। অনেক দিন পর গভীর ঘুম হল ওর।

শেষরাতে তখনও অন্ধকার কাটেনি, আকাশে সলজ্জ চাঁদ একটা সরু নীলাভ রিবনের মতো জেগে রয়েছে। লাইট জ্বালালেন না, কারণ পল্লবী যে ভাবে অঘোরে ঘুমোচ্ছে, জেগে যেতে পারে। এই এক সমস্যা হয়েছে, বার বার বাথরুমে যেতে হয়।

মানুষের শরীর জানান দেয় এক সময়ের ব্যভিচারী জীবনের কথা। শিল্পী হলে মদ্যপান স্বাভাবিক বিষয়। গলায় গ্ল্যামার আনতে গেলেও সোমরস প্রয়োজন। সব কথা কি বলা যায়! মেয়েদের অনেক কথা আড়াল রাখতে হয়, সহ্য করতে হয় কত কিছু। তিনি কি কখনও ভেবেছিলেন, এক জন বিবাহিত নায়কের সঙ্গে প্রণয়ে আবদ্ধ হবেন! প্রণয়ের মৃত্যু ডেকে আনে বিবাহ। তাঁদের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছিল। দেহের আকর্ষণ দু’দিনে ফুরিয়ে গেল। কী-ই বা আছে এই দেহে!

উনি তখন পাথরপ্রতিমায়। এক আখড়ার ষোড়শী তন্বীর প্রেমে পড়লেন। যত পালা হবে সব পাথরপ্রতিমায়। একই দল কোথাও বার বার গেলে তার ওজন কমে যায়, তা-ই হল। কিন্তু তাঁর টান তো তখন গীতার রূপ। কোনও কথা শুনছেন না। এক সময় হাল ছেড়ে দিলেন জ্যোৎস্নাদেবী। ওঁর ছেলের লেখাপড়ার খরচও তাঁকে বইতে হচ্ছে, কোনও স্বীকৃতি তো কোনও দিন পাবেন বলে ভাবেননি। আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন, তবে নিজে কোনও ফাঁদে আর জড়ালেন না। অভিনয়ে মন দিলেন। ‘যাজ্ঞসেনী’ নাটকে তাঁর একক অভিনয় সাড়া ফেলল। যাত্রা থেকে সরে গিয়ে অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে কল শো করতে লাগলেন।

ক্রমশ

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bengali Novel Novel

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy