সন্ত্রাসবাদের নেপথ্যে পাকিস্তানের ভূমিকা এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কথা বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে ভারত থেকে সাতটি বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে ছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এক এক করে গত রবিবার সব ক’টি দলই ভারতে ফিরে এসেছে। তারা কী বলল, আর কী শুনে এল সেই নির্যাস নিয়েই ওই দলগুলির প্রতিনিধিদের এ বার আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গের বাসভবনে সাতটি দলেরই সকল সদস্যকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিনিধিদলের একটিতে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যে দলে ছিলেন, সেটি গিয়েছিল এশিয়ার পাঁচটি দেশে— জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, কুয়ালা লামপুর, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া। সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় পরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর দফতর থেকে ফোন এসেছিল অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে। অভিষেকের দফতর থেকে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন:
গত মঙ্গলবার রাত ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ কলকাতায় পৌঁছোন অভিষেক। তিনি জানান, প্রায় ১৫ দিন ধরে পাঁচটি দেশে সফর করেছেন তাঁরা। বিদেশ সফরে তুলে ধরা হয়েছে ভারতের বার্তা। বিভিন্ন দেশে কী কী আলোচনা হয়েছে বিস্তারিত ভাবে তা জানতে চেয়ে বুধবার বিদেশমন্ত্রী বৈঠক করেন ওই প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সঙ্গে। তবে পূর্বনির্ধারিত বেশ কিছু কর্মসূচি ও উপনির্বাচনের জন্য ব্যস্ত থাকার কারণে সেই বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি অভিষেক। এ বার প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগ দেবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ‘অপারেশন সিঁদুর’ ও ভারত-পাক সংঘর্ষের পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দিতে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের সাতটি দল বিভিন্ন দেশে সফর করেছে। এই সব দেশে জঙ্গি প্রসঙ্গের পাশাপাশি পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েও আলোচনা হয়। শাসক এবং বিরোধী শিবিরের সাংসদদের নিয়ে তৈরি ওই প্রতিনিধিদল মোট ৩৩টি দেশে ঘুরেছে। সাতটি প্রতিনিধিদলে মোট ৫৯ জন সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩১ জন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরের সাংসদ। অভিষেক বাদে বাংলা থেকে একটি দলে ছিলেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যও। বাকি ২০ জন বিরোধী শিবিরের সাংসদ। এ ছাড়া কয়েক জন অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিকও ছিলেন ওই প্রতিনিধিদলগুলিতে।