চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সমাজের চারটি শ্রেণিকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে বলেছিলেন, ‘‘আমার জন্য দেশে চারটি বৃহত্তম জাতি রয়েছে। মহিলা, কৃষক, গরিব এবং যুবক।’’ রাজনৈতিক শিবিরের মতে, তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর এই চার ভোটব্যাঙ্কের প্রতি তিনি এবং তাঁর দল যে আরও যত্নবান হয়েছেন, তা একের পর এক বিধানসভা ভোটে সাফল্য প্রমাণ করছে। আজ তাই স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে বড় ‘ইভেন্ট’-এ পরিণত করেছেন মোদী।
আজ গুজরাতের নভসারি জেলায় বাংশী বোরসি গ্রামের এক জমায়েতে মোদী দাবি করেছেন, গত এক দশকে তাঁর সরকার নারী সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য কঠিন আইন এনেছে। নারী পুরুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা করেছে। তাঁর কথায়, ‘‘একটি মেয়ে দেরিতে ফিরলে বাবা-মা জানতে চান। কিন্তু কোনও ছেলে একই কাজ করলে তাঁরা তা করেন না।’’
গ্রামীণ মহিলাদের ক্ষমতায়নের প্রকল্প ‘লাখপতি দিদি’কে আরও প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতিও আজ দিয়েছেন মোদী। আজ এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বিভিন্ন কোম্পানির সিইও-দের সঙ্গে যেমন ভাবে বৈঠক করেন, তেমনই লাখপতি দিদিদের সঙ্গে বোর্ডরুম-বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে মোদীর হাতে ছিল একটি নোটপ্যাড ও পেন্সিল। আলোচনার মূল বিষয়গুলি নোট করে নিতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে। ‘লাখপতি দিদি’দের অভিজ্ঞতা শোনার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা যদি অনলাইনে ব্যবসা শুরু করেন, তা হলে তার আরও প্রসার ঘটবে। ৩ কোটি লাখপতি দিদির লক্ষ্যমাত্রা খুব শীঘ্রই পূরণ হবে। এরপরই ৫ কোটির লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগিয়ে যাওয়া হবে।
পাশাপাশি ছ’জন মহিলার ভিন্নধর্মী লড়াইয়ের গল্প এই দিন প্রধানমন্ত্রী পোস্ট করেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। এঁরা হলেন চেন্নাইয়ের দাবাড়ু বৈশালী রমেশবাবু, দিল্লির স্বাস্থ্য আন্দোলনকারী অঞ্জলি আগরওয়াল, নালন্দার ‘মাশরুম লেডি’ অনিতা দেবী, ভুবনেশ্বরের বিজ্ঞানী এলিনা মিশ্র, রাজস্থানের বিপণন বিশেষজ্ঞ অজৈতা শাহ এবং সাগরের বিজ্ঞানী শিল্পী সোনি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)