আগামিকাল অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ধ্বজা উত্তোলন করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। থাকবেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতও। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে মোদী-ভাগবতের এক মঞ্চে প্রকাশ্য উপস্থিতি দু’পক্ষের ঐক্য প্রতিষ্ঠার বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। আজ রাম মন্দির দর্শনে যান ভাগবত। তাঁকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
রাম মন্দির নির্মাণ কমিটি জানিয়েছে, আগামিকাল অভিজিৎ-মুহূর্তে বিশাল আকৃতির ওই পতাকা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে উত্তোলন করবেন মোদী। গেরুয়া পতাকায় থাকবে সূর্য, ওম, দেবকাঞ্চন গাছের প্রতীক। অতীতে ওই প্রতীকগুলি সূর্য বংশের পতাকায় ব্যবহার হত। মাঝে ওই পতাকার অস্তিত্ব হারিয়ে গেলেও, মেওয়ারে রামায়ণের একটি চিত্র অধ্যয়ন করার সময়ে ওই পতাকার খোঁজ পান ভারততত্ত্ববিদ ললিত মিশ্র। যার ভিত্তিতে তৈরি হয় ওই সুবৃহৎ পতাকাটি। মন্দির শীর্ষে লাগানো ওই পতাকা দেখা যাবে তিন কিলোমিটার দূর থেকে।
ওই পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হবে বলে মন্দির কমিটি সূত্রের খবর। যদিও মন্দির চত্বরের কাজ এখনও অনেকটাই বাকি। আগামিকালের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি স্থানীয় সাংসদ তথা এসপি নেতা অবধেশ প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘আশা করব প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে, যাঁরা জমি দিয়েও যথেষ্ট ক্ষতিপূরণ পাননি, যাঁদের বাড়ি ভাঙা পড়েছিল বা মন্দির চত্বর নির্মাণের জন্য যাঁদের খেতের জমি নেওয়া হয়েছিল, তাঁরা এ যাত্রায় অন্তত ক্ষতিপূরণ পাবেন।’’
লোকসভার নির্বাচনের আগে অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেও উত্তরপ্রদেশে ভাল ফল করতে ব্যর্থ হয় বিজেপি। উল্টে বাজিমাত করে অখিলেশ প্রসাদের দল সমাজবাদী পার্টি। ওই নির্বাচনে আরএসএস এবং বিজেপির মধ্যে সমন্বয়ের অভাবকেই মূলত খারাপ ফলের জন্য দায়ী করা হয়। পরবর্তী সময়ে দূরত্ব কমাতে একাধিক পদক্ষেপ করেন মোদী। আগামী দেড় বছরের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি জানে, সেই নির্বাচনের আগে রাম মন্দিরের মঞ্চে মোদী-ভাগবতের উপস্থিতির মাধ্যমে এক দিকে রাজ্যে যেমন হিন্দুত্বের হাওয়া তোলা সম্ভব হবে, তেমনই উভয় শিবিরের দূরত্ব ঘুচে যাওয়ার বার্তাও দেওয়া সম্ভব হবে। যাতে রাজ্যে তৃতীয় বার ক্ষমতায় ফের আসা সম্ভব হয় বিজেপির।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)