Advertisement
E-Paper

ছ’মাস পর সিবিআই নজরে গয়না-কর্তা

নীরব মোদী একা নন। ব্যাঙ্ক প্রতারণার আরও মামলা সামনে আসছে। দিল্লির দ্বারকাদাস শেঠ ইন্টারন্যাশনাল সংস্থার বিরুদ্ধে  এ বার ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্সকে ৩৮৯ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:০৮

নীরব মোদী একা নন। ব্যাঙ্ক প্রতারণার আরও মামলা সামনে আসছে। দিল্লির দ্বারকাদাস শেঠ ইন্টারন্যাশনাল সংস্থার বিরুদ্ধে এ বার ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্সকে ৩৮৯ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।

ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্স কিন্তু ছ’মাস আগেই সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিল। কিন্তু নীরব মোদীর কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পরে এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। গত অগস্টে অভিযোগ জমা পড়ার পরেও কেন এত দিন সিবিআই নড়ে বসেনি, তার জবাব মেলেনি।

এ ছাড়া সিবিআই আরও দু’টি ব্যাঙ্কেও প্রতারণার তদন্ত শুরু করছে। একটিতে নথি জাল করে মহারাষ্ট্র ব্যাঙ্ককে প্রতারণার অভিযোগ ব্যবসায়ী অমিত সিঙ্গলার বিরুদ্ধে। আরেকটি সেই পিএনবি’রই বারমেঢ় শাখার সিনিয়র ম্যানেজার ইন্দরচাঁদ চুন্দাওয়াতের বিরুদ্ধে।

এক সঙ্গে এতগুলি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় আজ রাহুল গাঁধী টুইট করেছেন, ‘‘মোদীজির জমানায় জনধন লুঠ যোজনা-য় আরেকটি কেলেঙ্কারি। ৩৯০ কোটি। দিল্লির গয়না ব্যবসায়ী। এক কায়দায় প্রতারণা। হয়তো বিজয় মাল্য, নীরব মোদীর মতো এঁরাও সরকারের চোখ বুজে থাকার সুযোগে নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন।’’

বাস্তবে হয়েছেও তাই। করোল বাগের ব্যবসায়ী দ্বারকাদাস শেঠ ইন্টারন্যাশনাল সংস্থার কর্তা সভ্য শেঠ ও তাঁর পরিবারের গত দশ মাস ধরে খোঁজ নেই। সকলেই বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন বলে সন্দেহ। ২০০৭ থেকে ২০১২, পাঁচ বছর ধরে গয়না ব্যবসার আমদানি-রফতানির টাকা মেটাতে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু ধার শোধ করেননি। বকেয়ার পরিমাণই বাড়তে বাড়তে ৩৯০ কোটি টাকা ছুঁতে চলেছে।

ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্কের অভিযোগ, দ্বারকাদাস সংস্থা ‘লেটার অব ক্রেডিট’ কাজে লাগিয়ে সোনা ও দামি পাথর কেনার দাম মেটাত।
কিন্তু বেআইনি ভাবে সোনা ও অর্থ বিদেশে পাচার করে দিত। এর জন্য ভুয়ো সংস্থাগুলিকেও কাজে লাগানো হত।

মহারাষ্ট্র ব্যাঙ্কের প্রতারণায় দেখা যাচ্ছে, ব্যবসায়ী অমিত সিঙ্গলা ব্যাঙ্ক থেকে ৯.৫ কোটি টাকা ঋণ নেন। বন্ধক হিসেবে দিল্লি ও হরিয়ানার তিনটি সম্পত্তি জমা রাখেন। দাবি করেন, সেগুলির বাজারদর ১৮ কোটি টাকা। ঋণ শোধ না হওয়ায় টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি সম্পত্তির মূল্য মাত্র ২.৫ কোটি টাকা।

কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলের কটাক্ষ, ‘‘আমাদের সময়ে টু-জি দুর্নীতির কথা বলা হত। আদালত বলে দিয়েছে, টু-জি তে দুর্নীতি হয়নি। মোদী জমানায় যে নিমো-জি দুর্নীতি হয়েছে, তা কিন্তু স্পষ্ট।’’

PNB scam effect CBI jeweller Oriental Bank of Commerce সিবিআই ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্স
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy