কেরলের এক কিশোরকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল একদল যুবকের বিরুদ্ধে। কাসারগড় জেলার ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দু’জন সরকারি কর্মীও রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৪ জন যুবক দু’বছর ধরে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ওই কিশোরের উপর যৌন নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রান্তিক লিঙ্গ ও যৌনতার মানুষ (এলজিবিটিকিউ প্লাস)-দের জন্য একটি অ্যাপের মাধ্যমে ওই অভিযুক্তদের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল নির্যাতিত নাবালকের। আলাপ জমানোর পরে সেই পরিচিতির সুযোগ নিয়ে বার বার তাকে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। কখনও কিশোরের বাড়িতে গিয়ে, কখনও আবার অন্য কোথাও ডেকে তাঁর উপর অত্যাচার করা হত বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে।
প্রায় দু’বছর ধরে এই নির্যাতন চললেও পরিবারের লোকেরা এত দিন কিছুই জানতেন না বলে দাবি। সম্প্রতি ওই কিশোরের মাকে দেখে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবক বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। বিষয়টি নজরে আসতে সন্দেহ হয় পরিবারের। এ বিষয়ে ছেলেকে প্রশ্ন করতেই ওই নাবালক বাড়িতে গোটা বিষয়টি জানায়। এর পরেই পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। ওই অভিযোগ এবং নির্যাতিত কিশোরের বয়ানের ভিত্তিতে পকসো আইনের আওতায় ১৪টি পৃথক মামলা রুজু করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
ওই মামলার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে রয়েছেন ডেপুটি পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক আধিকারিক। যে ১৪টি মামলা রুজু হয়েছে, তার মধ্যে আটটি কাসারগড় জেলার। ওই আটটি মামলার তদন্ত চালাচ্ছে কাসারগড় জেলার পুলিশ। অন্য ছ’টি মামলা কোঝিকোড় এবং কান্নুর জেলায় স্থানান্তর করা হয়েছে।