কর্নাটক বিধান সৌধের সামনে সেই বিতর্কিত মুহূর্ত। ছবি: পিটিআই।
কর্নাটকের বিধানসভা ভবনে পাকিস্তানপন্থী স্লোগান তোলার অভিযোগের ঘটনার তদন্ত শুরু করল পুলিশ। শুক্রবার বেঙ্গালুরু পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় আটক কয়েক জন সন্দেহভাজন ব্যক্তির কণ্ঠস্বরের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজ্যসভা ভোটে কর্নাটকে কংগ্রেসের তিন প্রার্থীর জয়ের পরে পাকিস্তানপন্থী স্লোগান তোলা হয়েছিল বলে বিজেপির অভিযোগ। বিরোধী বিজেপি-জেডিএস জোটকে হারিয়ে রাজ্যসভা ভোটে কর্নাটকের তিনটি আসন দখল করে সে রাজ্যের শাসকদল কংগ্রেস। বিরোধী জোটের দখলে যায় একটি। তার পরেই ওই ঘটনা হয় বলে অভিযোগ। সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দেন।
ঘটনায় অভিযোগের তির রাজ্যসভা ভোটে জয়ী এক কংগ্রেস প্রার্থী, সৈয়দ নাসির হুসেনের সমর্থকদের দিকে। যদিও নাসির এবং তাঁর অনুগামীরা সেই অভিযোগ অস্বীকার করে ভিডিয়ো বিকৃত করে প্রচারের পাল্টা অভিযোগ তুলেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। কর্নাটকে পরিষদীয় পাটিগণিত অনুযায়ী চারটি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের তিনটি এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপির একটিতে জেতার কথা ছিল। কিন্তু আর এক বিরোধী দল জেডিএসের সঙ্গে জোট বেঁধে দু’টি আসনে লড়তে নেমেছিল পদ্মশিবির।
কিন্তু সেখানে ‘ক্রস ভোটিং’ বুমেরাং হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দলের। কংগ্রেসের প্রার্থীকে ভোট দেন প্রভাবশালী বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী এসটি সোমশেখর গৌড়া। আর এক বিজেপি বিধায়ক অনুপস্থিত থাকেন। বিজেপির পাকপন্থী স্লোগানের অভিযোগের জবাবে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বিকে হরিপ্রসাদ বুধবার বিধান পরিষদের অধিবেশনে বলেছিলেন ‘‘পাকিস্তান বিজেপির কাছে শত্রু দেশ হতে পারে, আমাদের কাছে নয়।’’
এর পরে বিধান পরিষদের বিজেপি সদস্যের প্রতিবাদে সরব হন। কিন্তু তাতে না দমে প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণীর পাকিস্তান সফরের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। হরিপ্রসাদ বলেন, ‘‘আডবাণীজি পাকিস্তান সফরে গিয়ে সে দেশের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নার সমাধি পরিদর্শন করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘জিন্নার মতো ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন না কোনও নেতা’! তখন কি পাকিস্তান শত্রু দেশ ছিল না?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy