Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
National News

সম্পত্তি ৫০০ কোটি টাকার! খুনি অখিলেশকে ধরল পুলিশ

পূর্ব ভারতে নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের কাছে ত্রাস ছিল সে। ‘গুন্ডা কর’এ-র নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেছে সে। এর জন্য সুপারি কিলারের ভয়ও দেখাত অখিলেশ। অখিলেশ নিজেও দিল্লির আশপাশের অঞ্চল-সহ উত্তরাখণ্ডে নির্মাণ শিল্পে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল বলে দাবি পুলিশের।

ঝাড়খণ্ড পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার ছেলে অখিলেশ সিংহ। —ফাইল চিত্র।

ঝাড়খণ্ড পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার ছেলে অখিলেশ সিংহ। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
গুরুগ্রাম শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৭ ১৪:১২
Share: Save:

নির্মাণ শিল্পের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সে। শোনা যায়, তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা। তবে আদতে সে খুনি। তার নামেই রয়েছে ১০টি খুনের মামলা। ৫৬টি ডাকাতির অভিযোগ। সেই সঙ্গে তোলাবাজির একাধিক নালিশ। কলকাতার একটি বিখ্যাত জুতো ব্যবসায়ীর খুনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মাথার দাম ৭ লক্ষ টাকা। এ হেন কুখ্যাত অপরাধী অখিলেশ সিংহকে মঙ্গলবার গভীর রাতে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কার্যত ফিল্মি কায়দায় পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই হয় তার। দু’পায়ে গুলি লেগে আপাতত গুরুতর আহত অখিলেশকে পুলিশ গ্রেফতার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে।

ঝাড়খণ্ড পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার ছেলে অখিলেশ। পূর্ব ভারতে নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের কাছে ত্রাস ছিল সে। ‘গুন্ডা কর’এ-র নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেছে সে। এর জন্য সুপারি কিলারের ভয়ও দেখাত অখিলেশ। অখিলেশ নিজেও দিল্লির আশপাশের অঞ্চল-সহ উত্তরাখণ্ডে নির্মাণ শিল্পে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল বলে দাবি পুলিশের। তার সম্পত্তির পরিমাণ ৫০০ কোটির কাছাকাছি বলে দাবি অনেকের। তবে সে দাবির সত্যতা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। গুরুগ্রামের সোহনা রোডের অভিজাত এলাকায় একটি ফ্ল্যাটও রয়েছে অখিলেশের নামে।

২০০৬ সালে জেলর উমাশঙ্কর পাণ্ডের খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল অখিলেশের। কিন্তু, সে বছরেই প্যারোলে ছাড়া পায় সে। এক বছর পরেই ২০০৭ সালে জামসেদপুরে কলকাতার বিখ্যাত এক জুতো ব্যবসায়ী আশিস দে-র খুন করে বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন

জোর করে ভক্তদের নির্বীজকরণ: সিবিআই জেরার মুখে রাম রহিম

‘রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র চলতে পারে না ’: মুকুল

চাঁদ নামাবেন মোদী! তীক্ষ্ণ হুল রাহুলের

দীর্ঘ দিন ধরেই পুলিশের নজরে ছিল অখিলেশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশে জানতে পারে দিল্লির আশপাশের এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে সে। সেই মতো গত দু’দিন ধরেই ওই এলাকায় অখিলেশের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। গুরুগ্রাম পুলিশ‌ের সঙ্গে মিলে যৌথ অভিযান চালায় জামসেদপুর পুলিশের কর্মীরা।

জামসেদপুরের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) প্রভাত কুমার গুরুগ্রামের পুলিশ কমিশনার সন্দীপ খিরওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর পর গুরুগ্রামের ডিসিপি (ক্রাইম) সুমিত কুহারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল রাত দেড়টা নাগাদ গুরুগ্রামের গেস্ট হাউসে পৌঁছয়। ঘটনার সময় তার স্ত্রী গরিমার সঙ্গে ওই গেস্ট হাউসে ছিল সে।

পুলিশ সেখানে হানা দিলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাল অখিলেশ। পুলিশকর্মীরাও পাল্টা গুলি চালায়। অখিলেশের দু’পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর পর তাকে পাকড়াও করতে বেশি বেগ পেতে হয়নি পুলিশকে। আহত অবস্থায় তাকে গুরুগ্রামের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে জামসেদপুরে আনা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE