হাসপাতালের আড়ালে রমরমিয়ে চলছিল শিশু বিক্রির চক্র। মধ্যপ্রদেশে এমনই এক ‘শিশু খামার’-এর সন্ধান পেল পুলিশ, যেখান থেকে মোটা টাকার বিনিময়ে অনাথ সদ্যোজাতদের বিকিকিনি চলত। শিশু প্রতি পকেটে ঢুকত অন্তত ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এক বেসরকারি হাসপাতালের আড়ালে বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছিল এই জঘন্য কারবার। খদ্দের ছিলেন মূলত উত্তরপ্রদেশ আর ছত্তিসগঢ়ের নিঃসন্তান দম্পতিরা।
গোয়ালিয়রের মুরার অঞ্চলের এই হাসপাতালটির নাম পলাস। খদ্দেরদের কী ভাবে সদ্যোজাত সরবরাহ করত এই হাসপাতাল? বেশ অভিনব ফন্দি আঁটা হয়েছিল। এক তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, ধর্ষণের কথা ভয়ে প্রকাশ না করতে পেরে, বা ‘ভুল’ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, অনেক মেয়েই গর্ভবতী হয়ে পড়েন। সমাজের ভয়ে তাঁদের অনেকেই লুকিয়ে এই হাসপাতালে গর্ভপাত করাতে আসতেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ভুলিয়ে ভালিয়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য রাজি করাতো। গর্ভপাত করালে শরীরের ক্ষতি হওয়ার ভয় দেখাত। জানাত, এই ডেলিভারির কথা গোপনই রাখা হবে। নিতে হবে না সন্তানের কোনও দায়িত্ব। অনেকেই রাজি হয়ে যেতেন। আর এই সদ্যোজাতদের বেচেই চলত মোটা টাকা কামানোর ব্যবসা।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ খরার কবলে পড়তে চলেছে গোটা দেশ
এখনও পর্যন্ত ওই হাসপাতাল থেকে বিক্রি হয়ে যাওয়া দুই সদ্যোজাতকে উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ। হাসপাতালটির ডিরেক্টর এবং ম্যানেজার সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই হাসপাতাল থেকে বিক্রি হয়ে যাওয়া অনান্য শিশুদের খোঁজে চলছে তদন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy