একটি ভয়েস মেসেজ, ৪৫ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন। দিল্লির লাজপতনগরের ব্যবসায়ীর স্ত্রী এবং পুত্র খুনে নয়া তথ্য উঠে এল। কাপড় ব্যবসায়ী কুলদীপ সেওয়ানির স্ত্রী রুচিকা এবং পুত্র কৃষকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁদেরই দোকানের কর্মী মুকেশ পাসওয়ানের বিরুদ্ধে। খুনের নেপথ্য কারণ হিসাবে অভিযুক্ত প্রথমে দাবি করেছিলেন, রুচিকা তাঁকে কড়া ভাষায় কথা বলেছিলেন। তার জন্যই তাঁকে খুন করেন। কিন্তু কৃষকে কেন খুন করেছেন, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি অভিযুক্ত।
তবে তদন্তকারীরা অভিযুক্তকে জেরা করে জানতে পেরেছেন যে, রুচিকাদের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন মুকেশ। বুধবার তাঁকে একটি ভয়েস মেসেজ পাঠান রুচিকা। মুকেশকে দেওয়া ৪৫ হাজার টাকা ফেরত চান। শুধু তা-ই নয়, তাঁকে একটি মোবাইলও দিয়েছিলেন কুলদীপ। সেই মোবাইলও ফেরত দিতে বলেছিলেন রুচিকা। তার পরই কুলদীপদের ফ্ল্যাটে আসেন মুকেশ। রুচিকা ভেবেছিলেন মুকেশ যেমন প্রতি দিন কাজের সূত্রে আসেন, তেমনই এসেছেন। কিন্তু বুধবার তেমনটা হয়নি। ফ্ল্যাটে ঢুকেই রুচিকার উপর ছুরি নিয়ে মুকেশ হামলা চালান বলে অভিযোগ। তাঁর গলার ৮০ শতাংশ ফালা ফালা করে ফেলেন। তার পর তাঁর ছেলে কৃষকে হত্যা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ২৭ মিনিটে কুলদীপদের বাড়িতে আসেন মুকেশ। ৭টা ৪৮ মিনিটে বেরিয়ে যান। ২১ মিনিটের মধ্যে খুন করে ভাড়াবাড়িতে চলে যান। সেখানে পোশাক বদলে অটো নিয়ে নয়াদিল্লি স্টেশন যান। সেখান থেকে বিহারে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।