বছর আঠাশের এক কৃষকের বাড়িতে প্রবেশ করতে দম্পতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের পিলভিটে। ওই কৃষকের স্ত্রীর শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কৃষকের দাবি, ওই ঘটনার পরে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করতে চায়নি। উল্টে ‘ঘুষ দেওয়ার চেষ্টার কারণ দেখিয়ে’ ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁদের ‘আটক’ করে রাখা হয় বলে দাবি কৃষকের। ঘটনার কয়েক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর শেষে আদালতের নির্দেশে পদক্ষেপ করে পুলিশ এবং পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়।
পিলভিটের ওই কৃষকের অভিযোগ, গত ১৭ জানুয়ারি রাতে পাঁচ জন তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে মারধর করেন। তাঁর বছর পঁচিশের স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ শুরুতে কোনও আইনি পদক্ষেপ করেনি। দম্পতির চোট দেখেও পুলিশ তাঁদের কোনও স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করেনি বলে দাবি ওই কৃষকের। দম্পতির বক্তব্য, পরে তাঁরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করান। তাতে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ধরা পড়েছে বলে দাবি ওই কৃষকের।
ওই কৃষকের দাবি, থানার অভিযোগ জানাতে গিয়েও কোনও কাজ না-হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। শেষে পিলভিটের এক আদালতের নির্দেশে পদক্ষেপ করে পুলিশ। গত রবিবার পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় থানার ওসি জানান, ঘটনায় মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অতীতেও অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত তাঁর জেলায় প্রবেশ করা নিষেধ ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছাড়া আরও চার জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন পঞ্জাবের পাঠানকোটের বাসিন্দা বলে জানান স্থানীয় থানার ওসি।
আরও পড়ুন:
তবে আগে কেন এই মামলায় এফআইআর রুজু হয়নি, সে নিয়ে এখনই বিশেষ কিছু মন্তব্য করতে চাইছেন না ওসি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছিল। এক পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে অপর পক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়। দম্পতির অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে রিপোর্ট আসার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।”