ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মোকাবিলা কী ভাবে করতে হবে, রাজস্থানের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় তারই মহড়া চলছিল। মহড়া চলছিল ঝালোয়ারের এক বাঁধ রক্ষারও। সেই বাঁধের নীচেই ছিল মৌমাছির চাক। অভিযোগ, ড্রোনের হানায় ‘ক্ষেপে’ যায় মৌমাছিরা। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে এসে আক্রমণ করে পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্তাদের। প্রাণ বাঁচাতে পড়িমরি করে ছোটেন তাঁরা। কেউ আবার মাঠে শুয়ে পড়েন। অনেক চেষ্টায় উদ্ধার করা হয় তাঁদের।
শনিবার বিকেল থেকে ঝালোয়ার-সহ রাজস্থানের বিভিন্ন এলাকায় ‘মক ড্রিল’ চলেছে। কোথাও ড্রোন ওড়ানো হয়েছে। কোথাও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে কী ভাবে বাঁচানো হবে, সেই মহড়া চলেছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট আলো বন্ধ করে দিয়ে ‘ব্ল্যাক আউট’ করা হয়। সে সময় হেডলাইট বন্ধ করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়িগুলি। ঝালোয়ারের কালি সিন্ধ বাঁধেও ড্রোন হানার ‘মক ড্রিল’ চলছিল শনিবার বিকেলে। সে সময় বাঁধের উপরে আকাশে ওড়ানো হচ্ছিল বেশ কয়েকটি ড্রোন। অভিযোগ, তাতেই চটে যায় বাঁধে নীচে থাকা মৌমাছিরা। তারা ছুটে এসে হামলা করে মহড়ায় যোগ দেওয়া অফিসারদের।
মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক অজয় সিংহ রাঠৌর, পুলিশ সুপার রিচার তোমর-সহ সরকারি অফিসারেরা। তাঁদের দিকে ধাওয়া করে ছুটে আসে মৌমাছির দল। এসপি এবং জেলাশাসক কোনও মতে ছুটে ঢুকে পড়েন কন্ট্রোল রুমে। কোনও কোনও অফিসার মাটিতে শুয়ে পড়েন। এই ঘটনায় ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল মেডিক্যাল দল। সেই দলের সদস্যেরা অফিসারদের প্রাথমিক চিকিৎসা করে।
জয়পুর, অজমের, বারমের, শিকারেও চলেছে মক ড্রিল। জয়পুরে ‘মক ড্রিল’-এ এক জনের মৃত্যুও হয়েছে। জেলাশাসক জিতেন্দ্র সোনি জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ‘মক ড্রিল’-এর সময়ে ন’জন গ্রামবাসী ছুটে যাচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।