গোটা রাত জুড়ে তল্লাশি চলেছে। রায়গড়ের উরনে স্কুলপড়ুয়াদের বয়ানের ভিত্তিতে দুই সন্দেহভাজনের স্কেচও প্রকাশ করেছে মুম্বই পুলিশ। তবে এখনও কোনও সন্দেহভাজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে দাবি পুলিশের।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ উরনের কুম্ভরওয়ারা এলাকায় হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এক মুখোশধারীকে দেখা গিয়েছে বলে জানায় একটি ছেলে। সে তখন স্কুল যাচ্ছিল। তার কুড়ি মিনিট পরে ১৬ বছরের এক কিশোরীও স্কুল যাওয়ার পথে কালো পাঠান স্যুটে পাঁচ-ছ’জনকে দেখতে পায়। তাদেরও মুখ ঢাকা। হাতে বন্দুক এবং কাঁধে ব্যাকপ্যাক ছিল বলে দাবি করে ওই কিশোরী। সন্দেহভাজনদের মুখে অচেনা ভাষায় কথাবার্তা শুনে কিশোরী কিছু বোঝেনি।
উরনে ওএনজিসির দফতর রয়েছে। তা ছাড়া জওহরলাল নেহরু বন্দর এলাকা, পাশে নবি মুম্বই থেকে একটু দূরেই ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার। উরন থেকে জলপথে মুম্বইয়ের দূরত্বও কম। তা ছাড়া, ‘ওএনজিসি’ এবং ‘স্কুল’ শব্দ দু’টি সন্দেহভাজনদের মুখে শোনা গিয়েছে বলে জানিয়েছিল ওই কিশোরী। ২৬/১১ সন্ত্রাসে জড়িত লস্কর জঙ্গি কসাবের চেহারাও ভোলেনি সে। সন্দেহভাজনদের চেহারাও অনেকটা তেমন মনে হওয়ায় ওই কিশোরী স্কুলের শিক্ষকদের বিষয়টি জানায়। ওএনজিসি কর্তাদের কানেও পৌঁছয় ঘটনাটি। তাঁরাই তড়িঘড়ি পুলিশকে সব জানান। পুলিশ সতর্ক করে নৌসেনাকে। মুম্বই উপকূল বরাবর সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করা হয় নৌসেনার তরফে।
সন্দেহভাজনদের খোঁজে বৃহস্পতিবার সারা দিন একযোগে তল্লাশি অভিযান চালায় এনএসজি, এটিএস, মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ, উপকূলরক্ষী বাহিনী। সন্ধের পরেও কোনও খোঁজ না মেলায় তল্লাশি চলে রাতেও। নবি মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার রাতে নজরদারিতে নেতৃত্ব দেন। উরন এবং সংলগ্ন এলাকার সব স্কুল-কলেজ আজ বন্ধ ছিল। নৌসেনার বেশ কিছু চপারও নজরদারিতে নামে। উচ্চগতির বোটে নজর রাখা হয় জলপথেও।
গত ৭ সেপ্টেম্বর একটি পরিত্যক্ত নৌকো আটক করা হয়েছিল উরনের কাছে। সূত্রের দাবি, সেই ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy