ধস: পাথর সরিয়ে রাস্তা খোলার চেষ্টা। শনিবার বদ্রীনাথ যাওয়ার পথে বিষ্ণুপ্রয়াগের হাতি পর্বতে। ছবি: পিটিআই।
পাহাড় থেকে নেমে আসছে বিশাল বিশাল পাথরের চাঁই। ঘটনাটি নজর এড়ায়নি এক বিট কনস্টেবলের। বিপদটা আঁচ করে আর দেরি করেননি। সঙ্গে সঙ্গে খবর দিয়েছিলেন চামোলির সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের। আর তাতেই এই যাত্রায় বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল উত্তরাখণ্ড। সামান্য ভোগান্তি হলেও বড়সড় বিপদ থেকে থেকে বাঁচলেন চার ধাম যাত্রার পুণ্যার্থীরা।
গত কাল দুপুরে ধস নেমেছিল উত্তরাখণ্ডের হাতি পর্বতে। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে নেমেছে বিশাল বিশাল বোল্ডার। যার জেরে বিষ্ণুপ্রয়াগের কাছে হৃষীকেশ-বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সময়ে খবর পেয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করে প্রশাসন। গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয় ওই এলাকায়। সেই সঙ্গে সজাগ করা হয় স্থানীয়দের।
প্রশাসন জানিয়েছে, উত্তরাখণ্ড পুলিশের ওই কনস্টেবলের উপস্থিত বুদ্ধির জোরেই এড়ানো গিয়েছে ২০১৬ বা ২০১৩ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ২০১৬-র জুলাই মাসে ভারী বৃষ্টি ও ধসের জেরে উত্তরাখণ্ডে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৩০ জন। তার তিন বছর আগে ৫ হাজার মানুষ মারা যান ধস, বন্যায়। বহু মানুষের দেহ খুঁজেই পাওয়া যায়নি। এ বারের ধসের মাত্রা সেই রকম না হলেও উদ্ধারকাজ শীঘ্রই শুরু করা গিয়েছে। যা আগের কোনও ক্ষেত্রে সম্ভব হয়নি। চামোলির পুলিশ সুপার তৃপ্তি ভট্ট জানাচ্ছেন, বিট কনস্টেবলের কাছে খবর পেয়ে তাঁরা প্রথম দিকে ওই এলাকা দিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে পার করিয়ে দেওয়ার দিকে নজর দিচ্ছিলেন। কিন্তু পরে বিপদ বাড়ছে বুঝে যাতায়াত বন্ধ করে দেন। এতেই বড় কোনও বিপর্যয় এড়ানো গিয়েছে। তবে এতে অসুবিধেয় পড়েন দু’হাজার পুণ্যার্থী। প্রবল ধসে বন্ধ বদ্রীনাথ যাওয়ার পথে উত্তরাখণ্ডের আটকে পড়েন অনেকে। তবে চামোলিতে আটকে পড়া ১০০০ পুণ্যার্থীর মধ্যে ৮০০ জন আজ ফের যাত্রা শুরু করতে পেরেছেন। বাকিরা আটকে রয়েছেন বিষ্ণুপ্রয়াগ, পান্ডুকেশ্বর, গোবিন্দঘাটের বিভিন্ন জায়গায়। পুণ্যার্থীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। আটকে পড়া তীর্থযাত্রীদের জন্য ত্রাণ পাঠানোরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের একাংশ দাবি করেছিল, ধসে পর্যটক ও পুণ্যার্থী মিলিয়ে আটকে পড়েছেন অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। কিন্তু এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে চামোলির জেলাশাসক আশিস জোশী বলেন, ‘‘ধসে ১৫ হাজার লোক আটকে পড়ার খবর একেবারেই ভুল। বাস্তবে দু’হাজর জন আটকে পড়েছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy