Advertisement
E-Paper

Central Electronics LTD: সংস্থার বিলগ্নি আচমকা স্থগিতে উঠছে প্রশ্ন

অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক গত কাল সেন্ট্রাল ইলেকট্রনিক্সের বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২২ ১০:৩৭
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

গত বছরেও সেন্ট্রাল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড নামক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির মুনাফার পরিমাণ ছিল ১৩৬ কোটি টাকা। দিল্লির আনন্দ বিহারের কাছে সাহিবাবাদে সংস্থার জমির দামই অন্তত ৪৪০ কোটি টাকা। সংস্থার হাতে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার বরাত ছিল। তা থেকে মুনাফা হত ৭৩০ কোটি টাকা।

তা সত্ত্বেও প্রতিরক্ষা ও বৈদ্যুতিন ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রাংশ নির্মাণকারী সংস্থা সেন্ট্রাল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডকে মাত্র ২১০ কোটি টাকায় বেসরকারি সংস্থার কাছে বেচে দেওয়া হচ্ছিল, তা নিয়ে এখন নরেন্দ্র মোদী সরকারের অন্দরমহলে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। আপাতত স্থগিত ওই সংস্থার বিলগ্নি প্রক্রিয়া।

সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক গত কাল সেন্ট্রাল ইলেকট্রনিক্সের বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থাকে কেন জলের দরে বেচে দেওয়া হচ্ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংস্থার কর্মী থেকে বিরোধী শিবির অনেক দিন ধরে প্রতিবাদ করলেও এত দিন মোদী সরকার কান দেয়নি। কিন্তু শেষবেলায় বেসরকারি সংস্থার হাতে সেন্ট্রাল ইলেকট্রনিক্স তুলে দেওয়ার কাজ বন্ধ করায় আরও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

সেন্ট্রাল ইলেকট্রনিক্স ১৯৭৭ ও ১৯৭৮-এ প্রথম সোলার সেল ও সোলার মডিউল তৈরি করেছিল। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রেডারের যন্ত্রাংশ, সিএসআইআর, ডিআরডিও-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে নানা যন্ত্রাংশ তৈরির পাশাপাশি, ক্ষেপণাস্ত্রের যন্ত্রাংশ তৈরির প্রযুক্তিও হাতে পেতে চলেছে এই সংস্থা। কংগ্রেস মুখপাত্র গৌরব বল্লভের অভিযোগ, এই মাপের একটি সংস্থাকে নন্দাল ফিনান্স নামক একটি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছিল। যে সংস্থায় মাত্র ১০ জন কর্মী। তাঁদের মধ্যে কেউই ৫ বছরের বেশি টানা চাকরি করেননি। এই সংস্থার মালিকানা আবার প্রিমিয়ার ফার্নিচার-ইন্টেরিয়র্স সংস্থার হাতে। যাদের সঙ্গে ইলেকট্রনিক্স বা প্রযুক্তির কোনও সম্পর্ক নেই। নন্দাল ফিনান্সের বিরুদ্ধে দেউলিয়া আইনে মামলা ঝুলছে। নন্দাল ও জেপিএম ইন্ড্রাস্ট্রিজ---এই দু’টি সংস্থাই নিলামে দর হেঁকেছিল। দু’টি সংস্থার মালিকানা যাদের হাতে, তারা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। কেউই ন্যূনতম মূল্য ১৯৪ কোটি টাকার বেশি দর হাঁকেনি। কর্মীদের অভিযোগ, গোটা সংস্থার একটি মাত্র শাখা লোকসান করেছিল। তার জন্য পুরো সংস্থাই বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। তাঁরা আদালতে যাওয়ার পরে এ বার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, আন্তঃমন্ত্রক গোষ্ঠী এ বার গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। বিরোধীদের প্রশ্ন, আন্তঃমন্ত্রক গোষ্ঠীই তো এই বিলগ্নিকরণে সায় দিয়েছিল। তা হলে তারাই অনিয়ম খুঁজবে কী ভাবে!

Disinvestment Central Electronics Ltd
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy