Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
National News

প্রদ্যুম্ন খুনে নয়া মোড়, গ্রেফতার স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির ছাত্র

বাস কন্ডাকটর নয়, স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র খুন করেছিল গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্নকে। এমনই মনে করছে সিবিআই।

প্রদ্যুম্ন ঠাকুর। ফাইল চিত্র।

প্রদ্যুম্ন ঠাকুর। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
গুরুগ্রাম শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:৩৮
Share: Save:

একের পর এক রহস্যের মোড়ক খুলছে প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যা-কাণ্ডে। বাস কন্ডাকটর নয়, স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র খুন করেছিল গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্নকে। এমনই মনে করছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, স্কুলের পরীক্ষা পিছোতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। গত মঙ্গলবার রাতে তাকে আটক করা হয়েছে। আজ তাকে জুভেনাইল কোর্টে তোলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:

ধোঁয়াশা মোড়া দিল্লিতে বন্ধ স্কুল

মোদীর রাজ্যে দাঁড়িয়ে বণিকদের হুঁশিয়ারি মোদীকেই!

গত ৮ সেপ্টেম্বর রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুরকে শৌচাগারের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার গলার নলি কাটা ছিল। খুনের অভিযোগে স্কুলেরই এক বাস কন্ডাকটর অশোক কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ ওঠে, যৌন নিগ্রহের পর খুন করা হয় প্রদ্যুম্নকে। কিন্ত পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, যৌন নিগ্রহের কোনও প্রমাণ মেলেনি সাত বছরের ওই পড়ুয়ার শরীরে। এই রিপোর্টের পর থেকেই প্রদ্যুম্ন হত্যা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছিল। সিবিআই সূত্রে খবর, এই খুনের সঙ্গে বাস কন্ডাকর অশোক কুমারের কোনও যোগাযোগ নেই। বরং স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রের উপরেই নতুন করে সন্দেহ দানা বাধতে শুরু করে। প্রদ্যুম্ন শৌচাগারের ঢোকার পর যে পাঁচজনকে শৌচাগারে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল তার মধ্যে ওই ছাত্রটিও একজন। পাশাপাশি, প্রদ্যুম্নের মৃতদেহও সেই প্রথম সবাইকে দেখিয়েছিল। ছাত্রটিকে জেরা করেও কোনও সন্তোষজনক উত্তর পায়নি সিবিআই। বারে বারেই সে তার বয়ান বদলেছে।

সিবিআই জানিয়েছে, ওই ছাত্রের স্কুল রেকর্ডও ভাল নয়। পরীক্ষার প্রস্তুতি ঠিক মতো না হওয়ায় সে মাঝে মাঝেই তার বন্ধুদের সঙ্গে পরীক্ষার সময় পিছোনো নিয়ে আলোচনা করত। স্কুলের এক শিক্ষিকা এবং ওই ছাত্রের কয়েকজন সহপাঠী জানিয়েছে, খুনের দিন সে ব্যাগে করে লুকিয়ে ছুরি নিয়ে ক্লাসে ঢুকেছিল। যে শৌচাগারে প্রদ্যুম্নের দেহ মেলে সেখানকার কমোডের মধ্যে থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। ওই ছুরি দিয়েই খুন করা হয়েছিল কি না সেটা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। তবে নিজের ছেলেই যে অপরাধী, সেটা মানতে নারাজ তার বাবা। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার ছেলে কোনও খুন করেনি। চার বার তাকে জেরা করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। আমাদের বাড়িতেও এসেছিলেন তাঁরা। বিনা দোষে আমার ছেলেকে আটক করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE