সরকার বদলালেও তাঁর প্রভাব বা গুরুত্ব বদলায় না। অবসরপ্রাপ্ত আইএএস নবনীত সহগল উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে এই ভাবেই পরিচিত। এক সময়ে তিনি কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন। পরে মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, যোগী আদিত্যনাথ— উত্তরপ্রদেশের তিন মুখ্যমন্ত্রীর আমলে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি সরকারের সঙ্কট সামাল দেওয়ার ভরসা এবং ভরকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অবসরের পরে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে এসে প্রসার ভারতীর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
আচমকাই সেই নবনীত সহগল প্রসার ভারতীর চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। মঙ্গলবার তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। বুধবার তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণও করে নিয়েছে। এই পদত্যাগ নিয়ে মোদী সরকারের অন্দরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এক দিকে বিভিন্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে সংঘাত এই পদত্যাগের কারণ হতে পারে। তিনি সরকারের শীর্ষ স্তরেরও কোপে পড়েছিলেন।
অন্য দিকে, আর একটি সূত্রের দাবি, উত্তরপ্রদেশে ২০২৭-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে নবনীতকে বড় দায়িত্ব দিয়ে সেই রাজ্যে ফেরত পাঠানো হতে পারে। অথবা তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা দিল্লির উপরাজ্যপালের পদেও দেখা যেতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সেই ঘোষণার আগে তাঁকে ইস্তফা দেওয়ানো হল কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে ২০২৩-এ তাঁর অবসরের পরে নবনীতকে অন্য কোনও পদে নিয়োগ করেননি যোগী আদিত্যনাথ। গত বছরের অগস্টে প্রসার ভারতীর চেয়ারম্যানহিসেবে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল। ২০২৪-এ তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের নেতৃত্বাধীন একটি প্যানেল নবনীতকে বেছে নেয়। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। তার সঙ্গেও নবনীতের ইস্তফার সম্পর্ক রয়েছে বলে অনেকের দাবি। কারণ, এই ব্যক্তিই নবনীতকে প্রসার ভারতীর চেয়ারম্যান করায় মূল ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে একটিসূত্রের দাবি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)