প্রশান্ত কিশোর। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
এত দিন অন্য রাজনৈতিক দলের হাল সামলেছেন, তবে এ বার ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর নিজের রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা। সব কিছু ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই নতুন দল ঘোষণা করতে পারেন পিকে এবং তা করতে চলেছেন তাঁর নিজের রাজ্য বিহারেই। সোমবার সকালে পিকে যার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন টুইট করে।
পিকে লিখেছেন, ‘গণতন্ত্রের তাৎপর্যপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠার পথে আমার যে অন্বেষণ, তা ১০ বছর ধরে চলল। তবে এ বার সরাসরি ‘প্রকৃত ঈশ্বর’ অর্থাৎ জনতা জনার্দনের দরবারে যাওয়ার সময় এসেছে। গণতন্ত্রকে আরও কাছ থেকে বোঝার সময় এসেছে।’
সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের ঘোষণা না করলেও ওই টুইটে একটি নাম জানিয়েছেন পিকে। ‘জন সূরয’। যার বাংলা করলে হয় ‘জনতার সূর্য’। পিকে ‘জন সূরয’ বলতে বুঝিয়েছেন, ‘পিপলস্ গুড গভর্ন্যান্স’ অর্থাৎ মানুষের সুশাসন। শেষে হিন্দিতে জুড়েছেন, আরও তিনটি শব্দ— ‘শুরুয়াৎ বিহার সে’। অর্থাৎ বিহার থেকেই তাঁর যাত্রা শুরু হতে চলেছে।
My quest to be a meaningful participant in democracy & help shape pro-people policy led to a 10yr rollercoaster ride!
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) May 2, 2022
As I turn the page, time to go to the Real Masters, THE PEOPLE,to better understand the issues & the path to “जन सुराज”-Peoples Good Governance
शुरुआत #बिहार से
সম্প্রতি প্রশান্তের কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে সেই সম্ভাবনা খারিজ হয়ে যায়। এআইসিসি-র একটি সূত্র জানিয়েছিল, কংগ্রেসে যোগদানের শর্ত হিসেবে পিকে-কে বলা হয়েছিল তৃণমূল এবং টিআরএসের সঙ্গে সম্পর্ক চ্ছিন্ন করতে। পিকে-র পাল্টা শর্ত ছিল, আইপ্যাক এবং তিনি পৃথকসত্তা তাই সম্পর্ক চ্ছিন্ন করার প্রশ্নই ওঠে না।
এরই মধ্যে গত শনিবার একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ভোটকুশলী হিসেবে তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন পিকে। মমতার কথায়, ‘‘দলের মধ্যে পিকের ভূমিকা নিয়ে মতপার্থক্য ছিল। কিন্তু এটা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে তিনি ভোটকুশলী হিসেবেই দলে কাজ করবেন।’’
অতঃপর, সোমবার পিকে-র টুইটের পর প্রশ্ন উঠছে, নিজে রাজনৈতিক দল তৈরি করলে তিনি কী ভাবে অন্য দলের হয়ে ভোটকুশলী হিসেবে কাজ করবেন? সে ক্ষেত্রে পিকে-র দাবি, আইপ্যাক এবং তিনি যে পৃথক সত্তা, তা মান্যতা পাবে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ অবশ্য মনে করছে, পিকে-কে বাদ দিয়ে আইপ্যাক অস্তিত্ব কল্পনা করা কঠিন। এই পরিস্থিতিতে নতুন দল তৈরি করে কী ভাবে তিনি অন্য দলের ভোটকুশলী হিসেবে কাজ করবেন, তা নিয়ে কৌতূহল থাকবে রাজনৈতিক কারবারিদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy