Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Mizoram Assembly Election 2023

রবিবার ভোটগণনা নয়, দাবি মিজ়োরামের চার্চ ও সামাজিক সংগঠনগুলির! মঙ্গলে বৈঠক কমিশনে

আবেদনকারীদের দাবি, মিজ়োরামের প্রায় ৮৮ শতাংশ মানুষ খ্রিস্টান। রবিবার তাঁদের কাছে চার্চে গিয়ে প্রার্থনার দিন। কিন্তু ভোটগণনার দিন পড়ায় তাঁদের অসুবিধা হবে।

ভোটগণনার প্রতীক্ষায় মিজ়োরাম।

ভোটগণনার প্রতীক্ষায় মিজ়োরাম। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
আইজল শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৩ ২০:২৭
Share: Save:

দাবি উঠেছিল ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই। এ বার সেই দাবিতে, নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে মিজ়োরামের কয়েকটি নাগরিক সংগঠন। আগামী রবিবারের বদলে অন্য কোনও দিনে ভোটগণনার সেই দাবিতে সমর্থন জানিয়েছে মিজ়োরামের চার্চগুলির যৌথমঞ্চও। মঙ্গলবার এই দাবিতে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করবেন মিজ়ো নাগরিক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা।

আবেদনকারীদের দাবি, মিজ়োরামের প্রায় ৮৮ শতাংশ মানুষ খ্রিস্টান। রবিবার তাঁদের কাছে চার্চে গিয়ে প্রার্থনার দিন। কিন্তু ভোটগণনার দিন পড়ায় তাঁদের অসুবিধা হবে। ১৫টি চার্চের যৌথ মঞ্চ ‘মিজ়োরাম কোহরন হরুয়ইতুট কমিটি’ (এমকেএইচসি) আগেই এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। একই দাবিতে আলাদা ভাবে কমিশনকে ‘বার্তা’ দিয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যেরে সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রেসবাইটেরিয়ান চার্চও। গত রবিবার এই দাবিতে প্রার্থনাও হয়েছে চার্চগুলিতে।

চার্চের সেই দাবি নিয়ে শনিবার দিল্লি গিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন মিজোরামের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী এবং নাগরিক সংগঠনের কো-অর্ডিনেশন কমিটি। কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালসমলিয়ানা সোমবার বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন আমাদের মঙ্গলবার দেখা করার সময় দিয়েছেন। আমাদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল কমিশনের কাছে গিয়ে মিজ়োরামবাসীর দাবি তুলে ধরবেন। আশা করব, রাজ্যবাসীর ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে গণনার দিন বদলানো হবে।’’ পড়শি রাজ্য মণিপুরে খ্রিস্টান জনজাতি গোষ্ঠী কুকিদের উপর ধারাবাহিক হামলার অভিযোগে ঘিরে মিজ়োরামে ভোটের আগে থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ‘খ্রিস্টান ভাবাবেগে’র প্রশ্নে ভোটগণনা পিছনোর দাবিতে বিষয়টি ‘অন্য’ মাত্রা পেয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর এক দফায় মিজ়োরামের ৪০টি বিধানসভা আসনেই ভোট হয়েছে। গণনা আগামী রবিবার (৩ ডিসেম্বর)। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং রাজস্থানের সঙ্গে। ৪০টি আসনের মিজ়োরাম বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা ২১। যুযুধান প্রধান তিন দল শাসক মিজ়ো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ), প্রধান বিরোধী জ়োরাম পিপলস‌্ মুভমেন্ট (জেডপিএম) এবং প্রাক্তন শাসক দল কংগ্রেস সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। বিজেপি লড়ছে ২৩টিতে। কয়েকটি জনমত সমীক্ষা বলছে, ৪০ আসনের বিধানসভায় এমএনএফ এবং কংগ্রেস কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা ২১ ছুঁতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে আট থেকে ১২টি আসন পেয়ে নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারে জেডপিএম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE