Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
TMC

Presidential Election: রাষ্ট্রপতি ভোটে প্রাপ্তি বিরোধী ‘ঐক্য’: তৃণমূল

যশবন্তের প্রচার কমিটিতে যেমন রয়েছেন কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, তেমনই আছেন তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)-র রঞ্জিত রেড্ডি।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২২ ০৭:১১
Share: Save:

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিন্‌হা জিততে পারবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, গত তিন বছরে যা সম্ভব হয়নি, এই নির্বাচন তা সম্ভব করেছে। প্রায় সব বিরোধী দলকে এক টেবিলে বসানো গিয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভোটকে ঘিরে তারা ঐকমত্যও হয়েছে। পরস্পর বিরোধিতা ভুলে প্রায় সব বিরোধী নেতা এক মাসে পর পর দু’বার বসলেন এবং একটি নামে সর্বসম্মতও হলেন। রাজনৈতিক শিবির মনে করছে, এই ভোটে অন্তত ৪০ শতাংশ ভোট যশবন্তের পক্ষে যেতে পারে। তৃণমূলের বক্তব্য, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে এই ঐক্যের প্রভাব যাতে ধরে রাখা যায়, সে জন্য সক্রিয় হতে হবে।

যশবন্তের প্রচার কমিটিতে যেমন রয়েছেন কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, তেমনই আছেন তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)-র রঞ্জিত রেড্ডি। অথচ কিছু দিন আগেও পরস্পরের প্রতি তোপ দেগেছে দুই দল। অন্য দিকে, কমিটিতে রয়েছেন তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায়, রয়েছেন সিপিএম, সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে সীতারাম ইয়েচুরি এবং ডি রাজা। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল এবং বামেরা শুধু যুযুধানই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে বৈঠকের জন্য সমস্ত দলকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছিলেন, তখন প্রবল আপত্তি জানিয়ে খোদ মমতাকেই চিঠি দিয়েছিলেন ইয়েচুরি

তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দুশেখরের কথায়, “মতপার্থক্য সরিয়ে সাত দিনের ব্যবধানে সকলে একসঙ্গে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পেরেছেন। কংগ্রেস এবং সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের রাজনৈতিক বিরোধ থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের সহ-সভাপতিকে প্রার্থী হিসেবে সমর্থন করেছেন তাদের নেতারা। পরে যশবন্ত পদত্যাগ করেন। এই ঐক্য বহু বছর দেখা যায়নি। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব যেন পড়ে তার জন্য চেষ্টা করতে হবে।” তাঁর মতে, মহারাষ্ট্র, বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ বিভিন্ন রাজ্যে যাবেন যশবন্ত। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী শিবির বেকারত্ব, জ্বালানির আকাশছোঁয়া দাম, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির মতো সাধারণ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে এমন বিযয়গুলি তুলে ধরবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, টিআরএসের সমর্থন এই বিরোধী ঐক্যের বড় প্রাপ্তি বলে মনে করা হচ্ছে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা(জেএমএম) নেতা হিমন্ত সোরেন আপাতত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চাপে বিরোধী প্রার্থীর পাশে যদি না-ও থাকেন, পরে তাঁরা বিজেপি বিরোধী জোটে থাকবেন বলেই আশাবাদী বিরোধী শিবির। যদিও অরবিন্দ কেজরীবালের আপ সম্পর্কে সে ভাবে নিশ্চিত হতে পারছেন না বিরোধীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Congress Alliance Presidential Election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE