৬ জুলাই ব্রাজ়িলে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সময়ে পার্শ্ববৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ওই শীর্ষ বৈঠকের ভিত্তি রচনা করতে ভারত সফরে এসেছেন বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সুং ওয়েদং। আজ বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রীর সঙ্গে সুং-এর নেতৃত্বাধীন চিনা প্রতিনিধি দলের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ব্রিকস পার্শ্ববৈঠকের প্রস্তুতির পাশাপাশি আলোচনা হয়েছে দু’দেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী (ব্রহ্মপুত্র ও শতদ্রু) সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় বন্ধ থাকা নিয়ে। এ নিয়ে নয়াদিল্লি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি, জুলাইয়ের মধ্যে যাতে চিন-ভারত সরাসরি উড়ান চালু করা যায় তা নিয়েও কথা হয়েছে দু’পক্ষের। জুলাইয়ের ব্রিকস বৈঠকে যাতে মোদী এবং শি একসঙ্গে এই উড়ান ফের শুরু হওয়ার ঘোষণা করে ইতিবাচক বার্তা দিতে পারেন সে কারণেই চেষ্টা চলছে কাজ দ্রুত শেষ করার। আজ মিস্রী এবং সুং-এর বৈঠকের পরে যে বিবৃতি বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ‘‘বিদেশসচিব মানস সরোবর যাত্রা শুরু করা নিয়ে চিনের সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন। এ কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন যে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে আন্তঃসীমান্ত নদী সহযোগিতা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের ব্যবস্থায় আলোচনা হয়েছিল যে বন্ধ থাকা নদীর জলসংক্রান্ত তথ্য বিনিময় এবং অন্যান্য সহযোগিতা ফের শুরু হবে। আজকের বৈঠকে সে বিষয়ে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।’’
গত জানুয়ারি মাসে বিক্রম মিস্রী বেজিং সফরে গিয়ে দু’দেশের মধ্যে বন্ধ থাকা কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার দরজা খুলেছিলেন। সেই সফরেই দু’দেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র (ইয়ারলাং সাংপো) এবং শতদ্রু (লাংগেন সাংপো)-র জল সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ব্যবস্থা চালুর জন্য আবেদন করেন। উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, ইয়ারলাং সাংপোতে বেজিংয়ের তৈরি করা বড় মাপের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে। ভারতের আশঙ্কা, ওই প্রকল্পের কারণে ভারতে প্রবাহিত জলের পরিমাণ কমবে। আজও মিস্রী বিষয়টি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তুলেছেন বলে খবর। ভারত মনে করছে, জুলাইয়ের গোড়ায় ব্রিকস বৈঠকে দুই নেতার দেখা হওয়ার আগে এই বন্ধ থাকা আলোচনা শুরু হলে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গতি পাবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)