সংবিধান দিবসে সাংবিধানিক মূল্যবোধ জোরদার করার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্য দিকে, দেশের সংবিধানকে গরিব এবং নিপীড়িত মানুষের রক্ষাকবচ বলে অভিহিত করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
২৬ নভেম্বর দিনটি দেশে সংবিধান দিবস হিসাবে পালিত হয়। ১৯৪৯ সালে এই দিনেই গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত হয়েছিল। তা কার্যকর হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি, যে দিনটি প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে পালিত হয়। সংবিধান দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালেই সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। সংবিধান রচয়িতাদের শ্রদ্ধা জানান। তিনি লেখেন, “সংবিধান আমাদের অধিকার দিয়েছে। আবার নাগরিক হিসাবে দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, যা আমাদের সর্বদা মেনে চলা উচিত। এই দায়িত্ব একটি শক্তিশালী গণতন্ত্রের বুনিয়াদ।”
সমাজমাধ্যমের পোস্টে রাহুল লেখেন, “সংবিধান কেবল একটি বই নয়। এটা প্রতিটি নাগরিককে একটি পবিত্র প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। প্রতিশ্রুতি এই যে, প্রত্যেকের সমতা, ন্যায়বিচার, তা তিনি যে ধর্ম বা বর্ণেরই লোক হোন।” রাহুল জানান, যত দিন দেশের সংবিধান সুরক্ষিত আছে, তত দিন প্রতিটি নাগরিক সুরক্ষিত রয়েছে। একই সঙ্গে রাহুলের সংযোজন, “আসুন প্রতিজ্ঞা করি যে, আমরা সংবিধানের উপর কোনও আঘাত হানতে দেব না। এটাকে রক্ষা করা আমার দায়িত্ব।”
বুধবার সকালেই সংবিধান প্রণেতা বিআর অম্বেডকরকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি সংবিধানের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। সংবিধানকে ‘দেশের মেরুদণ্ড’ বলে উল্লেখ করেন। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “যখন গণতন্ত্র ঝুঁকির মুখে, ধর্মনিরপেক্ষতা বিপন্ন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করা হচ্ছে, তখন এই সঙ্কটময় সময়ে আমাদের সংবিধানপ্রদত্ত মূল্যবান রূপরেখাকে রক্ষা করতে হবে।”