রাজ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। বুধবার কমিশনের তরফে কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মাকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীদের নিরাপত্তারক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। তাঁদের বাড়ি এবং যাতায়াতের পথেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলেছে কমিশন। চিঠি পাওয়ার পর কী পদক্ষেপ করা হল, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট (অ্যাকশন টেকশন রিপোর্ট) আকারে জমা দিতে বলা হয়েছে।
‘মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপের’ প্রতিবাদে সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে বিক্ষোভ দেখান বিএলও-দের একাংশ। বিক্ষোভকারী বিএলও-রা রাজ্যের সিইও মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অ্যাপয়েন্টমেন্ট না-থাকায় দেখা করতে রাজি হননি সিইও। তার পর ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’-র ১৩ জন সদস্য রাতভর ধর্না চালিয়ে যান। যদিও অভিযোগ, তৃণমূলপন্থী ওই সংগঠনটির তরফে যাঁরা অবস্থানে বসেছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই বিএলও নন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়ার তিন বিএলও-র সঙ্গে দেখা করেন সিইও। বাকি আন্দোলনকারীরা অতিরিক্ত সিইও-র কাছে দাবিপত্র দিয়ে ধর্না তুলে নেন।
আরও পড়ুন:
সোমবার বিএলও-দের অবস্থানের জেরে মধ্যরাত পর্যন্ত নিজের দফতরেই আটকে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে। সোমবারের ঘটনাকে সিইও দফতরের নিরাপত্তা লঙ্ঘন হিসাবেই দেখছে কমিশন। ওই পরিস্থিতির মোকাবিলায় সিইও দফতরের রক্ষীরা যথেষ্ট নন বলে জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশকে দেওয়া চিঠিতে। সেই কারণে সে দিন সিইও, অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং অন্য আধিকারিকদের নিরাপত্তাগত ঝুঁকি ছিল বলে মনে করছে কমিশন।
তার পরেই কমিশনের তরফে জানানো হয়েছ, তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কলকাতা পুলিশকে কমিশনের নির্দেশ এসআইআর প্রক্রিয়ায় সংবেদনশীলতার কথা মাথায় রেখে সিইও দফতরে পর্যাপ্ত সুরক্ষার বন্দোবস্ত করতে হবে। রাজ্যে আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি রুখতে পুলিশকে পদক্ষেপ করার কথাও বলেছে কমিশন।