রাত পেরিয়ে সকাল। এখনও কলকাতার বিবাদী বাগ চত্বরে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরে ধর্নায় বসে কয়েক জন বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও)। যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলায় সিইও দফতরের সামনে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে ব্যারিকেড। দফতরের ভিতরে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’-র ১৩ জন সদস্য।
‘মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপে’র প্রতিবাদে সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে বিক্ষোভ দেখান বিএলও-দের একাংশ। ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-পর্বের বুথভিত্তিক কাজের সঙ্গে যুক্ত বুথস্তরের আধিকারিকদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সোমবার সিইও দফতরে তাঁদের ধর্না-বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়।
আরও পড়ুন:
বিক্ষোভকারী বিএলও-রা রাজ্যের সিইও মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অ্যাপয়েন্টমেন্ট না থাকায় দেখা করতে রাজি হননি সিইও। তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন অতিরিক্ত সিইও। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে দুপুর থেকে সিইও-র ঘরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অশান্তির ইঙ্গিত পেয়ে ঘটনাস্থলে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল)-এর নেতৃত্বে বাহিনী পৌঁছোয়। বিএলও অধিকার রক্ষা সমিতির সদস্যেরা বিক্ষোভ তুলতে রাজি না-হওয়ায় টেনেহিঁচড়ে তাঁদের সরানো হয়।
অবস্থান-বিক্ষোভের জেরে মধ্যরাত পর্যন্ত দফতরেই আটকে পড়েন সিইও। সিইও আটকে রয়েছেন, এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। যান বিজেপির বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মীও। রাত ১২টা নাগাদ দফতর ছাড়েন সিইও। পদ্মশিবিরের অভিযোগ, যাঁরা ধর্নায় বসেছেন, তাঁদের অনেকেই বিএলও নন। তাঁরা তৃণমূলের লোক। ধর্না অবস্থানে বসা এক শিক্ষকও জানিয়েছেন, তিনি বিএলও নন। কিন্তু সহকর্মীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতেই তিনি সেখানে গিয়েছেন। একটা সময় দু’পক্ষের স্লোগান, পাল্টা স্লোগান সরগরম হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। সিইও বেরিয়ে যাওয়ার পর অবশ্য বিজেপি নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে চলে যান। তবে অবস্থান চালিয়ে যান বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’-র ১৩ জন।