কলকাতার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ব্রিজ অ্যান্ড রুফ-এর শীর্ষপদে নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ ওঠায় এ বার প্রধানমন্ত্রীর দফতর নড়েচড়ে বসল। এ বিষয়ে ক্যাবিনেট সচিবের মত জানতে চাইল প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
গত ৫ জুন নরেন্দ্র মোদী সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ব্রিজ অ্যান্ড রুফ-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদে এম কে সিংহকে নিয়োগ করে। যিনি তার আগে ওই সংস্থার ডিরেক্টর (প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট) পদে ছিলেন। কিন্তু, তার পরেই এই নিয়োগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা পশ্চিমবঙ্গের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। ওই সংস্থার অফিসারদের সংগঠন এগ্জিকিউটিভ অ্যাসোসিয়েশন এম কে সিংহকে সিএমডি করার প্রতিবাদ জানিয়ে অধীরকে চিঠি লিখেছিল। সেই চিঠিটিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেন অধীর। অফিসারদের সংগঠনের আপত্তির কারণ, এম কে সিংহের বিরুদ্ধে সংস্থার এক মহিলা আধিকারিক যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগও রয়েছে।
অধীরের চিঠির প্রেক্ষিতেই গত ১২ জুন প্রধানমন্ত্রী দফতরের তরফে ক্যাবিনেট সচিবের মত জানতে চাওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের রাজনৈতিক বিভাগের ডিরেক্টর ভি শেষাদ্রি ক্যাবিনেট সচিব প্রদীপ কুমার সিন্হাকে নোট পাঠিয়ে তাঁর মত এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ চেয়েছেন। অধীর যে চিঠি পাঠিয়েছেন, সেটিও ক্যাবিনেট সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই এম কে সিংহ অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি স্তরে কে কাকে কী চিঠি লিখেছে, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলি সবই মিথ্যে ও বানানো। কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে এইধরনের অভিযোগ তুলেছে। তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য সংস্থার কাজকর্ম স্বাভাবিক নিয়মে চলতে না দেওয়া। এর ফলে সংস্থার কাজকর্মেরও ক্ষতি হচ্ছে।’’
শুধু অধীররঞ্জন চৌধুরী নয়। ব্রিজ অ্যান্ড রুফের অফিসারদের সংগঠন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কেও চিঠি লিখেছিল। সেই চিঠিটি রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে ভারী শিল্প মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy