রাহুলের বাড়িতে কংগ্রেস সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে প্রিয়ঙ্কা। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
রামায়ণের রাম বনবাসে যাওয়ার পরে ভাই ভরত তাঁর পাদুকা সিংহাসনে রেখে অযোধ্যা শাসন করেছিলেন। রাহুল গাঁধী এখনও বিদেশে। তাঁর দিল্লির বাসভবনে বসে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা কৃষি আইন নিয়ে পঞ্জাবের কংগ্রেস সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করলেন। বৈঠকে প্রিয়ঙ্কার বার্তা, ‘‘আমরা বরাবর কৃষকদের সঙ্গে থেকেছি। আমরা কোনও ভাবেই পিছু হটব না।” শুক্রবারও কেন্দ্র ও কৃষকদের বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। ঠিক হয়েছে, ফের ১৫ জানুয়ারি বৈঠক হবে। রাহুল বিদেশে থাকলেও এ নিয়ে টুইট করেছেন, “নিয়ত সাফ নহি হ্যায় জিনকি, তারিখ পে তারিখ দেনা স্ট্র্যাটেজি উনকি!”
গত এক মাস ধরে পঞ্জাবের সাংসদরা দিল্লির যন্তর-মন্তরে ঠান্ডার মধ্যেই ধর্নায় বসছেন। আজ তাঁদের সঙ্গেই রাহুলের তুঘলক লেনের বাড়িতে বৈঠকে বসেন প্রিয়ঙ্কা। পঞ্জাবের কংগ্রেস সাংসদদের ধর্নায় অধীর চৌধুরীর মতো কংগ্রেস নেতারা যোগ দিয়েছেন। কিন্তু রাহুলকে সেই ধর্নায় দেখা যায়নি। শুক্রবার দুপুরে রাহুলের বাড়িতেই পঞ্জাবের সাংসদদের ডেকে পাঠান প্রিয়ঙ্কা। বৈঠকে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কৃষক আন্দোলনের একটাই সমাধান, আইন ফেরত। আর কোনও সমাধান নেই।’’
প্রিয়ঙ্কা তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসায় কংগ্রেস সাংসদরাও চাঙ্গা বোধ করছেন। এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্জাবের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতারা জেলায় জেলায় ঘুরে পঞ্চায়েত স্তরে সংগঠন গড়ে তোলার কাজে নেমে পড়েছেন। প্রিয়ঙ্কা দিল্লি থেকেই সে দিকে নজর রাখছেন। এর পরে পরিস্থিতি যাচাই করতে তিনি উত্তরপ্রদেশে যাবেন। গত মাসে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের বৈঠকেও প্রিয়ঙ্কা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। গাঁধী পরিবারের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ নেতাদের দূরত্ব কমাতে সনিয়াকে বৈঠকে বসতে রাজি করান প্রিয়ঙ্কাই। বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন।
এ দিনের বৈঠকের বৈঠকের পর প্রিয়ঙ্কা বিবৃতিতে বলেন, ‘‘আন্দোলনে ৬০ জনের বেশি কৃষকের প্রাণ গিয়েছে। কিন্তু বিজেপি সরকারের ব্যবহার দেখে সকলে অবাক। উত্তরপ্রদেশের চাষিরা ট্র্যাক্টর নিয়ে আন্দোলনে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁদের শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। যোগী সরকার আন্দোলনকারী কৃষকদের চিহ্নিত করতে পুরো শক্তি লাগিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy