মহাকুম্ভে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা নিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ? —ফাইল ছবি।
মৌনী অমাবস্যায় মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনার নেপথ্যে কি কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে? এমন সম্ভাবনা এখনও উড়িয়ে দেয়নি যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। সোমবার সংসদে আরও এক বার ষড়যন্ত্রের তত্ত্বের কথাই শোনা গেল বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদের গলাতেও।
সোমবার সংসদে বাজেট অধিবেশনের শুরু থেকেই মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে সরব হন বিরোধী সাংসদেরা। সংসদের দুই কক্ষেই কুম্ভ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। সেই আবহেই বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর বলেন, ‘‘মহাকুম্ভে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তে আমরা যড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। পুরো তদন্ত হয়ে গেলে বোঝা যাবে নেপথ্যে কারা ছিলেন। তখনই লজ্জায় তাঁদের মাথা নত হবে।’’
উত্তরপ্রদেশে পুলিশ-প্রশাসনের একাংশ ইতিমধ্যেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে। তাদের অভিযোগ, জনা দুয়েক যুবক গভীর রাতে হঠাৎ ত্রিবেণী সঙ্গমের ভিড়ে বোমার গুজব ছড়ায়। আর তা থেকেই সৃষ্টি হয় হুড়োহুড়ি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথও বুধবার পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘গুজবে কান দেবেন না।’’ যদিও বিরোধীদের একাংশের দাবি, গাফিলতি এড়াতে শেষ পর্যন্ত ষড়যন্ত্রের তত্ত্বকেই ‘হাওয়া দেবে’ উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার। বাজেট অধিবেশনে মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা সরব হতে পারেন, তা আগে থেকেই স্পষ্ট ছিল। সোমবার হলও তাই।
কুম্ভের ঘটনা নিয়ে সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। সোমবারের অধিবেশনের শুরু থেকেই এই দাবি তোলেন বিরোধী সাংসদেরা। তাঁদের দাবি, পদপিষ্টের ঘটনায় যত জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের নামের তালিকা দিতে হবে সরকারকে। সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা যা বলা হচ্ছে, আসলে তার থেকে আরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলেও দাবি বিরোধীদের। রাজ্যসভা থেকেও ওয়াকআউট করেন বিরোধী সাংসদেরা।
গত ২৯ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় মৌনী অমাবস্যার ‘শাহি স্নান’ চলছিল। গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর সঙ্গমে স্নান করার জন্য প্রচুর পুণ্যার্থীর ভিড় হয়। সেই সময়ে পদপিষ্ট হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়। সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৩০। তবে অনেকের এখনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তোলেন বিরোধী সাংসদেরা। এ বার কুম্ভের ঘটনায় ষড়যন্ত্রের তত্ত্বের কথা বললেন বিজেপি সাংসদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy