ক্ষমতার চেয়ে বেশি ভার চাপিয়ে দেওয়ায় হোঁচট খাচ্ছিল ট্রেন। জোড়া ব্যবস্থা নেওয়ায় অবশেষে হাওড়া-নয়াদিল্লি রুটে ট্রেনের জট কিছুটা হলেও কমতে চলেছে। এতে ওই লাইনে ট্রেন অন্তত কিছুটা মসৃণ ভাবে চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দু’টি ব্যবস্থা কী কী? l আলিগড় থেকে গাজিয়াবাদ পর্যন্ত তৃতীয় লাইন পাতার কাজ শেষ করা। • ওই রুটে প্রায় বেশির ভাগ জায়গাতেই ইলেকট্রনিক ইন্টারলক সিগন্যালিং সিস্টেম চালু করা। এই জোড়া ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর হলে ওই রুটে ট্রেনের জট কিছুটা হলেও কমে যাবে বলে রেলকর্তাদের দাবি।
দীর্ঘদিন ধরেই ওই রুটে লাইনের ক্ষমতার চেয়ে অন্তত ৪৫ % বেশি ট্রেন চালানো হচ্ছে। অবধারিত ভাবে পাকিয়ে যাচ্ছে ট্রেনের জট। এর জেরে রাজধানী, দুরন্ত এক্সপ্রেস-সহ অনেক কুলীন ট্রেনও ন্যূনতম ৫-৬ ঘণ্টা দেরি করছে। দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। এ বার পরিকাঠামো তৈরির দু’টি কাজ শেষ হওয়ায় যাত্রীদের কিছুটা স্বস্তি মিলবে বলে রেলকর্তাদের আশা।
বোর্ডের কর্তারা এই আশার কথা বললেও রেলের একাংশের বক্তব্য, মোগলসরাই থেকে ইলাহাবাদ এবং কানপুর পর্যন্ত ট্রেনের গতি বাড়াতে না-পারলে জট চলবেই। রেলকর্তারা জানান, অতিরিক্ত লাইন না-থাকায় ওই অংশে বর্তমানে লাইনের ক্ষমতার চেয়ে প্রায় দেড়শো শতাংশ বেশি ট্রেন চালানো হচ্ছে। ওই অংশে আরও দু’টি অতিরিক্ত লাইন চালু না-করা পর্যন্ত যাত্রীদের ওই জট-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনও আশা নেই বলে মনে করছেন তাঁরা। শুধু তা-ই নয়, রেল সূত্রের খবর, পরপর কয়েকটি দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই লাইনে এত বেশি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যে, ট্রেন আর একটানা দ্রুত গতিতে এগোতেই পারছে না। ফলে এক দিকে জট, তার উপরে গতি হ্রাস— দুইয়ে মিলিয়ে দেরির যন্ত্রণা বেড়েই চলেছে।
রেলকর্তারা জানান, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত, পূর্ব-মধ্য, পূর্ব উপকূল এবং পূর্ব রেলের দিল্লিমুখী সব যাত্রী-ট্রেনই ওই রুটে চলে। তার উপরে রয়েছে মালগাড়িও। কিন্তু লাইন মাত্র দু’টি। ফলে গাজিয়াবাদ-দিল্লি পর্যন্ত অংশে ট্রেন-জট কমানোর ব্যবস্থার পরেও মোগলসরাই থেকে ইলাহাবাদ পর্যন্ত ট্রেনের গতি ফেরানোর ব্যবস্থা করতে না-পারলে যাত্রীদের দুর্ভোগ চলবেই।