পাথরবাহী লরির চাকায় পিষ্ট এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল কাটিগড়া এলাকার বিহাড়ায়। গত রাতের এই দুর্ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ জনতা আজ বন্ধ পালন করল। রাস্তা মেরামত না হওয়া পর্যন্ত জাটিঙ্গা-জয়ন্তিয়া সড়কে বড় গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দিয়েছে তারা। কাল রাত আটটা নাগাদ চারটি পাথরবোঝাই লরি পরপর যাচ্ছিল। চতুর্থটির চাকার তলায় পিষে যান প্রণয় দেব নামে বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে উত্তেজিত জনতা মৃতদেহ উদ্ধারে বাধা দেয়। ছুটে যান সার্কেল অফিসার অমিয়প্রভা দাস। তিনি নিহতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য এবং রাস্তাঘাট সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে মৃতদেহ শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। আজ সকালে বিহাড়ায় যান কাটিগড়ার বিধায়ক অমরচাঁদ জৈন। তিনি মৃতের অন্ত্যেষ্টি ও অন্যান্য কাজের জন্য দ্রুত সরকারি তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। গ্রামবাসীদের আশ্বাস দেন, সড়ক আপাতত চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার জন্য তিনি দু’দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পুরো নির্মাণকাজও শীঘ্রই শুরু হবে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অনেকদিন থেকেই জাটিঙ্গা-জয়ন্তিয়া সড়ক বেহাল অবস্থায় রয়েছে। রাস্তার মধ্যে বিশাল আকারের এক একটা গর্ত। বিশেষ করে বিহাড়া, বাবুরবাজার প্রভৃতি এলাকায় হাঁটাচলার উপায় নেই। এর মধ্যেই বালাছড়া থেকে পাথর নিয়ে লরি যায়। একে তো পাথর বহনের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে, তার উপর পূর্ত দফতর এই সড়কে ভারী যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু পুলিশ পাথর পরিবহণে কোনও বাধাই দেয়নি। গ্রামবাসীরা এ ব্যাপারে পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েও ব্যর্থ হন। ফলে কাল রাতে দুর্ঘটনার পর গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ চললেও পুলিশ ক্ষিপ্ত জনতাকে আটকাতে পারেনি।
গড়েরভিতর পঞ্চায়েতের সভাপতি কুমুদ রায় বলেন, ‘‘আজ এলাকাবাসী স্বতস্ফূর্তভাবে বন্ধ পালন করছেন। দোকানপাট, যানবাহন বন্ধ রয়েছে। গাড়ি তাঁরা চলতে দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’ কুমুদবাবুর কথায়, আগে রাস্তা ঠিক হোক। পরে বড় গাড়ির চিন্তা। এই সময়ে কোনও মতেই তাঁরা পাথর বা অন্য কোনও পণ্যবাহী লরি রাস্তায় চলতে দেবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy