কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে আজ লাদাখকে পৃথক রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে সরব হলেন লে অ্যাপেক্স বডি (এলএবি), কার্গিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (কেডিএ)-এর সদস্যেরা। পাশাপাশি, জাতীয় নিরাপত্তা আইনে আটক সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুকের মুক্তির দাবিতে জানান তাঁরা।
মাসখানেক আগে রাজ্যের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল লে। টানা দু’দিনের বিক্ষোভ-আন্দোলন ও অশান্তিতে চার জন প্রাণ হারান। আহত হন শতাধিক। ওই অশান্তির পিছনে হাত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সোনমকে। গত শুক্রবার লে-এর হিংসার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। পরবর্তী ধাপে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন এলএবি, কেডিএ-র প্রতিনিধিরা ও লাদাখের সাংসদ মহম্মদ হানিফা জন। সূত্রের মতে, বৈঠকে মূলত চারটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতিনিধি দলটির তরফে লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার পাশাপাশি সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলভুক্তির দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া, সংরক্ষণ সংক্রান্ত শর্ত ও সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুকের মুক্তির দাবি জানান প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা।
ছয় বছর আগে জম্মু-কাশ্মীর ভেঙে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তারপর থেকেই লাদাখকে আলাদা রাজ্য ঘোষণার দাবিতে সরব স্থানীয়েরা। আজ বৈঠকের শেষে কেডিএ সদস্য সাজ্জাদ হুসেন কারগিলি বলেন, ‘‘গত ছয় বছর ধরে একটাই দাবি জানিয়ে আসছি, তা হল লাদাখে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। আর তা করার প্রশ্নে একমাত্র সমাধান হল লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া। তবে এ কথা ঠিক ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া সময়সাপেক্ষ বিষয়। তবে আশার কথা, এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।’’ বৈঠকে প্রতিনিধি দলের তরফে সোনম-সহ ওই আন্দোলনে যোগ দিয়ে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি তোলা হয়। বিশেষ করে সোনমের বিরুদ্ধে যে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হন প্রতিনিধিরা। তাঁদের মতে, নয়াদিল্লির প্রতি লাদাখবাসীর আস্থা ফেরাতে কেন্দ্রের উচিত সহানুভূতিমূলক মনোভাব দেখিয়ে ধৃতদের ছেড়ে দেওয়া। পাশাপাশি, ওই আন্দোলনে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন বা আহত হয়েছেন, তাঁদের জন্য কেন্দ্রের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)