ধর্ষণে অভিযুক্ত শিবমূর্তি মুরুগা শরনারু। ছবি: সংগৃহীত।
দুই কিশোরীকে দীর্ঘ দিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগে মাইসুরুর এক ‘ধর্মগুরুকে’ আটক করলেও কেন তাঁকে ছেড়ে দিল পুলিশ? গুরুতর অভিযোগ সত্ত্বেও কেন তিনি মঠে ফিরেছেন? এ ধরনের একাধিক প্রশ্ন তুলে ওই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল হল কর্নাটকের মাইসুরু।
সোমবার পকসো আইন (প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট)-এ মাইসুরুর চিত্রদুর্গা এলাকার একটি মঠের ‘ধর্মগুরু’ শিবমূর্তি মুরুগা শরনারুকে আটক করে মাইসুরু পুলিশ। অভিযোগ, প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে ১৫ ও ১৬ বছরের দুই কিশোরী তাঁর অত্যাচারের শিকার। চিত্রদুর্গার ওই মঠের হস্টেলে থাকত তারা।
এই ঘটনায় শিবমূর্তি, ওই মঠের হস্টেলের ওয়ার্ডেন-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে চিত্রদুর্গা থানার পুলিশ। তবে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর শিবমূর্তিকে আটক করলেও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এমনকি, চিত্রদুর্গার মঠেও ফিরে আসেন তিনি। এর পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। চিত্রদুর্গা থানা-সহ জেলা প্রশাসনের দফতরের বাইরে বিক্ষোভকারীরা জমায়েত করেন। এ বিষয়ে কিশোরীদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো সত্ত্বেও শিবমূর্তির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হয়নি। যদিও শিবমূর্তির দাবি, সমর্থকেরা তাঁর পাশেই রয়েছেন। মঠে ফিরে তিনি বলেছেন, ‘‘আমার পাশে থেকে সকলেই সাহস জুগিয়েছেন। ভয় পাওয়ার কারণ নেই। আইনের প্রতি ভরসা রাখুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy