Advertisement
E-Paper

‘হাতে বন্দুক নিলেই কাশ্মীরি যুবকদের শেষ করে দেওয়া হবে’

বিরোধীদের প্রশ্ন হল, ওই দমননীতিতে কি আদৌ কোনও লাভ হবে? কারণে মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেই কাশ্মীরের শান্তি ফেরানোর দায়িত্ব কার্যত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের হাতে তুলে দিয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:২৮
জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। কাশ্মীরি যুবকেরা বন্দুক হাতে নিলে তাদের শেষ করে দেওয়া হবে। জানালেন কে জে এস ধিলোঁ।

জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। কাশ্মীরি যুবকেরা বন্দুক হাতে নিলে তাদের শেষ করে দেওয়া হবে। জানালেন কে জে এস ধিলোঁ।

কাশ্মীরে বন্দুক হাতে নিলেই শেষ করে দেওয়া হবে বলে ফের উপত্যকার যুব সমাজকে বার্তা দিল ভারতীয় সেনা। তবে এমন দমননীতির বার্তা জঙ্গি সমস্যা কমাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

পুলওয়ামা কাণ্ডের পরে গত কাল সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে তিন জইশ জঙ্গি। আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় সেনার চিনার কোর-এর কম্যান্ডার কে জে এস ধিলোঁ স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আগামী দিনে আরও শক্ত হাতে জঙ্গি দমন করা হবে। কোনও ধরনের বিরোধিতা হলে প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ করতে দ্বিধা করবে না সেনা। তাঁর কথায়, ‘‘উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। কাশ্মীরি যুবকেরা হাতে বন্দুক নিলে তাদের শেষ করে দেওয়া হবে।’’ তবে আত্মসমর্পণ করলে সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সেনার তরফে। কাশ্মীরি মায়েদের কাছে ধিলোঁর আর্জি, বিপথগামী সন্তানদের আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে বলুন।

আরও পড়ুন:তৈরি ইমরান, নস্যাৎ দিল্লির

কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন হল, ওই দমননীতিতে কি আদৌ কোনও লাভ হবে? কারণে মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেই কাশ্মীরের শান্তি ফেরানোর দায়িত্ব কার্যত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের হাতে তুলে দিয়েছিল। শুরু থেকেই কড়া দমননীতির রাস্তা বেছে নেওয়া হয়। পাঁচ বছরে উপত্যকায় প্রায় সাড়ে আটশো জঙ্গি নিহত হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে নিহত জঙ্গিদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে স্থানীয় যুবকদের সংখ্যা। কমছে বিদেশি জঙ্গি। ওই ঘটনা উদ্বিগ্ন করেছে সরকারকে।

ভালবাসায়: পুলওয়ামায় জঙ্গি হানায় নিহত মেজর বিভূতিশঙ্কর ধুনদিয়ালের শেষকৃত্যে তাঁর স্ত্রী। মঙ্গলবার দেহরাদূনে। ছবি: পিটিআই

কারণ এ যাবৎ কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপের পিছনে পাকিস্তান থেকে পাঠানো বিদেশি জঙ্গিরাই দায়ী বলে সরব হত ভারত। আর পাকিস্তানের যুক্তি ছিল, কাশ্মীরের মানুষ ভারতীয় সেনার ‘আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে স্থানীয় যুবকদের জঙ্গি দলে নাম লেখানোর প্রবণতা ভারতের জন্য যে যথেষ্ট চিন্তার বিষয় বলেই মানছে নর্থ ব্লক। স্বরাষ্ট্র কর্তাদের একাংশের মতে, অতিরিক্ত দমননীতিতে সম্ভবত হিতে বিপরীত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: একশো ঘণ্টাতেই জইশ নিধন: সেনা

তাই লোকসভা ভোটের আগে এ ভাবে নতুন কড়া বার্তা কাশ্মীরের যুবকদের নতুন করে বিচ্ছিন্ন করে দিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে একাধিক শিবির। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি মনে করেন, ‘‘দমননীতির পথ নিলে বিচ্ছিন্নতাবাদ আরও বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। কাশ্মীরি যুব সমাজের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজন ছিল । ’’

Pulwama terror attack Pulwama Attack পুলওয়ামা হামলা Indian army Kashmir
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy