গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে মিলেই হাড়গিলা পাখি হত্যা বন্ধ করতে সফল পূর্ণিমা। —নিজস্ব চিত্র।
‘গ্রিন অস্কার’ পেলেন অসমের পরিবেশবিদ পূর্ণিমা দেবী বর্মন। পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম সেরা পুরস্কার হিসেবে পরিচিত ‘গ্রিন অস্কার’ বা হুইটলে অ্যাওয়ার্ড। হলিউড সিনেমা জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার অস্কারের মতোই এর কদর। বিশ্বের ৬৬টি দেশের ১৬৬ জন সংরক্ষণকর্মীকে পিছনে ফেলে ওই পুরস্কার জিতে নিলেন পূর্ণিমা।
বিপন্ন প্রজাতির হাড়গিলা পাখির সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য পূর্ণিমাদেবীকে এই সম্মান দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার লন্ডনে প্রিন্সেস রয়্যাল বা রাজকুমারী অ্যানি তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেবেন।
আরও পড়ুন
‘বাবা আমায় বাঁচাও, কিছু করো যাতে আমি বাঁচি’
অসমে রয়েছে প্রায় আটশোটি হাড়গিলা পাখির বাস। ছবি: সংগৃহীত।
কামরূপের কাছে দদরা, পাচারিয়া, সিঙিমারি গ্রামে হাড়গিলা পাখির বসতি রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে সেখানে কাজ করে হাড়গিলার রক্ষক হিসাবে গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে পেরেছেন পূর্ণিমা। আরণ্যক নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য তিনি। মূলত তাঁর প্রচেষ্টাতেই বন্ধ হয়েছে হাড়গিলা হত্যা। হাড়গিলার বাসা রয়েছে এমন গাছ কাটাও বন্ধ হয়েছে ওই এলাকায়। ৭০ জন মহিলাকে নিয়ে ‘হাড়গিলা সেনাবাহিনী’ও তৈরি করেছেন পূর্ণিমা। সেখানকার গ্রামে ফুলাম গামোসাতে মহিলারা জাপি বা অন্য নকশার বদলে হাড়গিলার ছবি ফুটিয়ে তোলেন। পূর্ণিমাদেবী বলেন, “এই পুরস্কার আসলে আমার সঙ্গে কাজ করা সব মহিলা সৈনিক ও তিনটি গ্রামের মানুষের। তাঁদের কাজই বিশ্বেমঞ্চে স্বীকৃতি পেল।”
বিশ্বে হাড়গিলার সংখ্যা ১২ থেকে ১৫ হাজার। তার মধ্যে প্রায় আটশোটি হাড়গিলার বাস অসমেই। এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বরে ‘আইইউসিএন’-এর ‘হেরিটেজ হিরো’র শিরোপা পেয়েছিলেন মানস জাতীয় উদ্যানে কাজ করা, আরণ্যকেরই বিভূতি লহকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy