নাগরিকত্ব প্রশ্নে কত বার পরীক্ষা দিতে হবে অসমের বাঙালিদের, এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই দানা বাঁধছে আন্দোলন। গত কাল বরাক উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে সভা-সমিতি হয়। আজও শিলচরে চলে মিটিং-মিছিল। বাঙালি বিদ্বেষী মনোভাবের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছে নাগরিকত্ব সুরক্ষা সংগ্রাম কমিটি।
শিলচর জেলা গ্রন্থাগারে আয়োজিত আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, গ্রামেগঞ্জে কমিটি করে আন্দোলনের ভিত মজবুত করা হবে। শুধু শহরে সভা-সমিতি আর বক্তৃতা করে সরকারের টনক নড়ানো সম্ভব নয়। তাই পঞ্চায়েত ভিত্তিক কমিটি হবে বলে ঠিক হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে চান তাঁরা। কমিটির কর্মকর্তাদের কথায়, এ শুধু দু’-একদিনের ব্যাপার নয়। অসম সরকার পরিকল্পিতভাবে এগোচ্ছে। ফলে আন্দোলনকেও দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখতে হবে। এনআরসি তৈরির নামে একাংশকে আদি বাসিন্দার স্বীকৃতি দেওয়ার যে ষড়যন্ত্র চলছে, তাতে হস্তক্ষেপ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকপত্র পাঠানোরও সিদ্ধান্ত আজ নেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে সংসদের যৌথ কমিটিকে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব পাঠাবেন তাঁরা। সেজন্য শিলচরের সাংসদ তথা যৌথ কমিটির সদস্য সুস্মিতা দেবের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তাঁর মাধ্যমেই নিজেদের প্রস্তাবগুলি দিল্লি পৌঁছবেন তাঁরা।
আজ সভার আগে নাগরিকত্ব সুরক্ষা সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে বড় মিছিল হয় শিলচর শহরে। ফিরে এসে বর্তমান সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য, অরুণাংশু ভট্টাচার্য, শশাঙ্কশেখর পাল, সুরতজামান মন্ডল ও সারিমুল হক লস্কর। ধর্মীয় ও ভাষা-সংখ্যালঘুদের উপর রাজ্য সরকারের হেনস্তার কথা বার বার উঠে আসে তাঁদের বক্তব্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy