জিএসটি বোঝ? জিএসটি? বাস, ট্রাম, ট্যাক্সি, অটো, বাজার, দোকান, হাসপাতাল টালমাটাল। পারলে নৌকো, জাহাজ যেথায় যাও একটাই টপিক- জিএসটি। গুগল ঘাঁটো বা মাথার চুলই ছেঁড়ো জিএসটি বোঝায় কার সাধ্যি। পাড়ার শিক্ষিত হোমড়াচোমড়া দাদাই বল বা নান্টু দা’র চায়ের দোকানের আড্ডায় ‘সবজান্তা’ পল্টুদা জিএসটি নিয়ে এক্কেবারে ঘেঁটে ঘ। অতএব চায়ের কাপে তুফান। বৈঠকি আড্ডায় চা-মুড়ির সঙ্গে জিএসটির রমারমা। দিন নেই রাত নেই ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপে খুটুসখাটুস। কিন্তু এত কিছু তর্ক বিতর্কে পর শেষে গিয়ে হাতে রইল সেই পেনসিল।
পাড়ার এক দাদাকে জিএসটি নিয়ে প্রশ্ন করায় রীতিমতো তেড়েফুঁড়ে এল। বাবু সকাল সকাল ব্যাগ ঝুলিয়ে পরিপাটি চুল আঁচড়ে অফিস যাচ্ছিল। দাঁত মুখ খিচিয়ে জবাব এল জি-এস-টি মানে ‘গুষ্টির ষষ্ঠীপুজো তোমার।’ পাশ থেকে কোনও এক ফচকে ছোকড়া ফোড়ন কাটল—‘‘জিএসটি-র ফুল ফর্ম—গয়া সুখ তুমহারা। আরে বুঝলেন কী না, এটাই এখন পাবলিক খাচ্চে।’’ অতএব ফের হাতে রইল পেনসিল।
আরও পড়ুন: জিএসটি এ দেশে সম্ভব নয়, মোদীর সেই ভিডিও সামনে আনল কংগ্রেস
মুদির দোকানে মাসের রেশন তুলতে গিয়েছিলেন হীরু কাকা। তাকেই শুধোলাম জিএসটি কারে কয় জানো? পান চিবোতে চিবোতে বলল, ‘‘এত জলঘোলা করার কী আছে? এত সোজা ব্যাপার। আজ যেটা ভ্যাট কাল সেটাই হবে জিএসটি। তুমি কি হারালে যে কেঁদে ভাসাচ্ছ? যা নেওয়া হয়েছে গ্রাহকের থেকে হয়েছে। যা দেওয়া হচ্ছে সরকারকে হচ্ছে। যা বেঁচে যায় বাড়িতে গিন্নিকে দেওয়া হয়। তোমার কাছে আগেও কিছু ছিল না এখনও নেই। অতএব, বৎস বিলাপ করিও না।’’ সব গুলিয়ে গেল।
সে দিন বন্ধুদের আড্ডায় ফের শুধোলাম একই প্রশ্ন। চায়ে লম্বা চুমুক দিয়ে এক বন্ধু বলল, ‘‘মহিলারা হল আসলে জিএসটি।’’ শুধোলাম কেন? বলল দু’টি বিষয়ই বোঝার বাইরে। ধুৎতোর! অতএব পেনসিল হাতেই থাক। জিএসটিকে বেশি ঘাঁটিয়ে লাভ নেই। রাত পোহালেই খুলবে জট। ততক্ষণ ব্রহ্মাই জানেন জিএসটির আসল মানে।
(নাম পরিবর্তিত)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy