নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পক্ষে দাঁড়াল অখিল ভারতীয় অধিবক্তা পরিষদের কাছাড় ইউনিট। তবে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে ৭ বছর এ দেশে বসবাস বাধ্যতামূলক করার বিরোধিতা করেছেন গৈরিক আইনজীবীরা। এ ব্যাপারে যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পরিষদের পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে যে সব হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন ও পার্সি এ দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে যেন কোনও রকম শর্ত আরোপ করা না হয়।
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ২ ও ৫ নং ধারায় এই বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া উচিত বলে তাঁদের অভিমত। তাঁদের কথায়: বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব নিশ্চিত হয়ে গেলে অসম চুক্তির ৬ (ক) ধারা লঙ্ঘনের প্রশ্ন ওঠে না। কারণ ওই চুক্তিতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়নেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্যাতিত হয়ে আসাদের নাগরিকত্ব প্রদানের পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা আরও সহজ হবে বলেই সংসদীয় কমিটিকে তাঁরা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এনআরসি প্রসঙ্গেও যৌথ সংসদীয় কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তাঁরা বলেন, এনআরসি নবীকরণের কাজ অসমে শম্বুকগতিতে চলছে। ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্য রাজ্যে এখনও তা শুরুই হয়নি। এই কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। পরিষদের কর্মকর্তা অনিলচন্দ্র দে, শান্তনু নায়েক ও সুস্মিতা পুরকায়স্থ বলেন, নির্যাতিত শরণার্থীদের নাম এনআরসি-তে সরাসরি তুলে দেওয়া উচিত।
পাশাপাশি, পরিষদ যে প্রকৃত ভারতীয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে নয়, সে কথাও সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান সত্যপাল সিংহকে জানিয়েছেন তাঁরা। শান্তনু নায়েক বলেন, প্রকৃত ভারতীয়দের নাম হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে এনআরসি-তে তোলারই পক্ষপাতী তাঁরা। কংগ্রেস এ নিয়ে শুরু থেকে জটিলতার সৃষ্টি করে চলেছে। বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে তারা। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব বা এনআরসি ইস্যুতে অধিবক্তা পরিষদের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট বলে শান্তনুবাবু জানিয়েছেন। এ দিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরতে দিল্লি যাচ্ছেন হিন্দু লিগ্যাল সেলের রাজ্য কমিটির আহ্বায়ক ধর্মানন্দ দেব ও মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য। যৌথ সংসদীয় কমিটি তাঁদের আগামী ১৩ অক্টোবর আলোচনার জন্য সময় দিয়েছে। একই দিনে আলোচনার ডাক পেয়েছে নাগরিক অধিকার রক্ষা সমিতিও। তাদের নেতৃত্ব দেবেন সংগঠনের মুখ্য উপদেষ্টা হাফিজ রসিদ আহমদ চৌধুরী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy