জগদীপ ধনখড় কোথায়?
গত ২১ জুলাই উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে জগদীপ ধনখড় আচমকা ইস্তফা দিয়েছিলেন। তার পরে ১৮ দিন কেটে গিয়েছে। নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে শাসক ও বিরোধী শিবিরে প্রার্থী বাছাই নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ধনখড়ের দেখা মেলেনি। কোনও রাজনীতিক, অন্তত বিরোধী শিবিরের কোনও সাংসদ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তাঁর মোবাইল বন্ধ।বাড়িতে ফোন করলেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
রাজ্যসভার সাংসদ, আইনজীবী কপিল সিব্বল আজ এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন, “আমরা কেউ জানি না উনি কোথায়। আমি ফোন করেছিলাম। ওঁর ব্যক্তিগত সহায়ক বললেন, উনি বিশ্রাম নিচ্ছেন। তারপরে কেউ ফোনই ধরছে না। ওঁর শরীর খারাপ ছিল। ওঁর কি চিকিৎসা চলছে? উনি আমার ভাল বন্ধু ছিলেন। আমি উদ্বিগ্ন। অন্যান্য রাজনীতিক, সাংসদদের জিজ্ঞাসা করেছি। কেউই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।”
রাজনৈতিক শিবিরে গুঞ্জন ছিল, অমিত শাহের সঙ্গে বাদানুবাদের পরে ধনখড় ইস্তফা দিয়েছিলেন। সে দিকেই ইঙ্গিত করে সিব্বল কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিশ্চয় জানবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতি দেওয়া উচিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ করব ওঁকে খুঁজে বের করতে। আমি লাপাতা লেডিজ-এর কথা শুনেছিলাম। লাপাতা উপরাষ্ট্রপতি প্রথম শুনছি।’’
বিজেপি শিবিরে ইতিমধ্যেই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নতুন প্রার্থী নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়র চাঁদ গহলৌত, গুজরাতের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত, দিল্লির উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা, জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা,বিহারের নেতা রামনাথ ঠাকুরের মতো একাধিক নাম জল্পনায় রয়েছে। বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ, কে লক্ষ্মণের নাম জল্পনায়রয়েছে। এনডিএ শিবির ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডার উপরে সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিয়েছে। আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই এনডিএ উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারে।
এ দিকে বিজেপি শিবিরের মধ্যেও ধনখড়কে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজস্থানের বিজেপি মুখপাত্র কৃষ্ণ কুমার জানু প্রথমে সত্যপাল মালিক, তারপরে জগদীপ খনখড়—দুই নেতার সঙ্গে দলের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিজেপি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে।
কপিল সিব্বলের প্রশ্ন, “বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি কোথায়? তিনি কি সুরক্ষিত রয়েছেন? কেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না? এ নিয়ে পুলিশে এফআইআর করা ভাল দেখায় না। কিন্তু তাঁর পরিবার, আত্মীস্বজন, কারও কাছেই তাঁর কোনও খোঁজ নেই। তা হলে কি আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে হেবিয়ার কর্পাসের মামলা করব?”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)