E-Paper

রাহুলের উল্টো দিকে নিতিনের বাংলো, প্রশ্ন

নিতিনের নামে ৯, সুনহরী বাগ রোডে যে বাংলো বরাদ্দ হয়েছে, তাও আবার টাইপ-৮। অর্থাৎ, একেবারে প্রথম সারির বাংলো।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৫৫
নিতিন নবীন।

নিতিন নবীন।

উল্টো দিকের প্রতিবেশী রাহুল গান্ধী। দু’পা এগোলেই অমিত শাহের বাড়ি। অথচ, পদাধিকার বলে তিনি এখনও কেবল শাসক দলের কার্যকরী সভাপতি। তা সত্ত্বেও লাটিয়েন দিল্লির একেবারে কেন্দ্রস্থলে, সংসদ থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে শীর্ষ স্তরের বাংলো পেলেন নিতিন নবীন। কংগ্রেস বলছে, তিনি হতে পারেন বিজেপির হবু কেন্দ্রীয় সভাপতি। কিন্তু এখনও হননি। তা হলে নিতিন কী ভাবে ওই বাংলো পেলেন লাটিয়েন দিল্লিতে, তা-ও আবার রাহুল গান্ধীর বাড়ির সামনে? এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেনকংগ্রেস নেতৃত্ব।

নিতিনের নামে ৯, সুনহরী বাগ রোডে যে বাংলো বরাদ্দ হয়েছে, তাও আবার টাইপ-৮। অর্থাৎ, একেবারে প্রথম সারির বাংলো। যা মূলত পেয়ে থাকেন অমিত শাহের মতো সরকারের শীর্ষ সারির কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরা। নিতিন নবীন বিজেপির জাতীয় সভাপতি হলে-এ ধরনের বাংলো পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন ঠিকই। কিন্তু কংগ্রেসের প্রশ্ন, তিনি তো এখনও সেই পদে বসেননি। শুধুই দলের কার্যকরী সভাপতি। তা সত্ত্বেও ৫, সুনহরী বাগ রোডে রাহুলের বাড়ির সামনে শীর্ষ পর্যায়ের বাংলো কেন বরাদ্দ করা হল?

বিজেপি বলছে, মকর সংক্রান্তির পরে বিজেপিতে নির্বাচনেরমাধ্যমে নিতিনকে সভাপতি হিসাবে বেছে নেওয়া প্রায় ঠিক হয়ে রয়েছে। তার পর দলীয় কাজেরপ্রয়োজনে বিহারের নিতিনকে আগামী বেশ কয়েক বছর দিল্লিতেইপাকাপাকি ভাবে থাকতে হবে। শাসক দলের সভাপতি হিসাবে তাঁর তখন বাংলোর প্রয়োজন হবেই। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে আগেভাগেই বাংলো বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে ওই বাংলোয় প্রয়োজনীয় মেরামতির কাজ সেরে নিয়ে মকর সংক্রান্তির পরে গৃহপ্রবেশ করতে পারেন নিতিন।

আর রাজনীতিকদের মতে, রাহুল গান্ধীকে সম্ভবত রাজনৈতিক ভাবে ব্যতিব্যস্ত করতেই তাঁর বাড়িরউল্টো দিকে নিতিনের বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছে। কারণ, নিতিন সভাপতি হওয়ার পরে দিন-রাত তাঁরবাড়িতে কর্মী-সমর্থকদের ভিড়, নেতা-মন্ত্রীদের আনগোনা, দলীয় অনুষ্ঠান, হইচই লেগেই থাকবে। যা প্রতিদ্বন্দ্বী রাহুলের জন্য মাথাব্যথার কারণ হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। অতীতে নিতিন গডকড়ী যখনজাতীয় সভাপতি হয়েছিলেন, তখন দিল্লির ফিরোজ শাহ রোডের যে আবাসনে তিনি মুম্বই থেকে এসে উঠতেন, সেখানেই থাকতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু মাস কয়েক পরেই কর্মী-সমর্থকদের ভিড়, হট্টগোল, সর্বক্ষণের হইচইয়ের কারণে ওই আবাসনের অন্য বাসিন্দারা গডকড়ীকে অন্যত্র উঠে যাওয়ার অনুরোধ করতে বাধ্য হন। যা মেনে নেন গডকড়ী।

এ ক্ষেত্রেও বিজেপির অত্যুৎসাহী কর্মী-সমর্থকদের কারণে রাস্তার ও-প্রান্তে থাকা রাহুল গান্ধী যে বিব্রত হবেন না, তা কে বলতে পারে!

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Nitin Nabin BJP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy