প্রথম বার পুরোপুরি রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শিলংয়ের রিলবংয়ে রবীন্দ্র স্মৃতিবজড়িত ব্রুকসাইড বাংলোয় পালিত হল রবীন্দ্র জন্মোৎসব। আজ রবীন্দ্র গবেষক মালবিকা বিশারদের পরিচালনায় বাঙালি, খাসি, গারো শিল্পীরা নাচ-গান-আবৃত্তিতে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করলেন ব্রুকসাইডের বাংলোর সামনে। ১৯১৯, ১৯২৩ ও ১৯২৭ সালে তিন দফায় গুয়াহাটি, শিলং, আগরতলায় ঘুরেছিলেন কবি। প্রথম বার ছিলে উম শিরপি ঝর্ণার ধারে তদনীন্তন চট্টগ্রামের সহকারি কমিশনার কে সি দের ব্রুকসাইড বাংলোয়। সঙ্গে ছিলেন বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ, পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী, গায়ক দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর স্ত্রী কমলা দেবী, জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় এবং সেবক সাধুচরণ। এই বাড়িতে বসে কবি একটি চাউনি, একটি দিন কবিতাগুলি লেখেন। অনুবাদও করেন বেশ কয়েকটি কবিতা। ব্রুকসাইডের স্মৃতি ধরা আছে তাঁর শেষের কবিতায়। বাংলোর পাশেই এখন মেঘালয় বিধানসভা। মালবিকাদেবী দীর্ঘদিন ধরে বাংলোটি সংরক্ষণের জন্য লড়াই চালাচ্ছেন। বাংলোর সামনে রবীন্দ্রনাথের পূর্ণাবয়ব মূর্তি প্রতিষ্ঠার পরে রাজ্যের উদ্যোগে বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষকে নিয়ে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করতে পারা সেই লড়াইয়ে সাফল্যের ধাপ বলে মনে করছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy