রাহুল গাঁধী এবং নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
দু’জন দুই মেরুর বাসিন্দা।নরেন্দ্র মোদীর কথায় বার বার উঠে আসে কংগ্রেস মুক্ত ভারতের কথা। আর রাহুল গাঁধী? বিজেপির সঙ্গে টক্করের হুঙ্কার দিলেও বিজেপি মুক্ত ভারতের কথা তিনি ভাবতেও রাজি নন। একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাত্কারে কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ‘‘বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে লড়তে চাই। ওদের হারাতে চাই। কিন্তু বিজেপি মু্ক্ত ভারত চাই না।’’
কর্নাটক ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই একে অন্যের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে কংগ্রেস ও বিজেপি। এ মুহূর্তে দেশের ২১টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস টিমটিম করে জ্বলছে মাত্র চারটি রাজ্যে। কংগ্রেস কি পারবে কর্নাটকের কুর্সি ধরে রাখতে? রাহুলের কথায়, ‘‘কর্নাটক হোক কিংবা গুজরাত, প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গুলি হেলনে যে দেশ চলতে রাজি নয়, সেটা সব জায়গা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাতে বিজেপি ধাক্কা খেয়েছে। কর্নাটকে পর্যদুস্ত হবে। তার পর ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের পালা।’’
তবে কি তিনিও বিরোধীহীন রাজনীতির স্বপ্ন দেখেন?
মোদীর সঙ্গে তাঁর ভাবনার অমিলের জায়গাটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাহুল। বিজেপিকে বাস্তব ধরে নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিকে আমি সম্মান করি। আপনারা দেখবেন, যে ভাষায় উনি কথা বলেন, সেই ভাষায় আমি কথা বলি না। আমি এটাও বলছি যে, বিজেপির মতাদর্শ ভারতে রয়েছে, এটা বাস্তব ঘটনা। এ জন্য আমি কখনই বিজেপি মুক্ত ভারতের কথা ভাবি না।’’
মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাহুল বলেছেন, ক্ষমতায় আসার পর মোদী নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারেননি। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা ও দুর্নীতি দমনে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। এর প্রভাব কর্নাটকের ভোটে পড়বে বলেও মনে করছে কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy