প্রশ্ন এসেছিল রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র নিয়ে। উত্তরে রাহুল গাঁধী বললেন, ‘‘পরিবারতন্ত্র শব্দটা স্পষ্ট নয়। আমি কিন্তু নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আমার উপরেও আঘাত এসেছে। আমি কী কাজ করছি, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’’
আজ লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সের আলাপচারিতায় রাহুলকে ওই প্রশ্ন করেন বিদেশি এক শ্রোতা। রাহুল বলেন, ‘‘পঞ্চাশ-ষাটের দশকের চেয়ে আজকের সংসদের বিতর্ক এত নিম্নমানের কেন? আইন তৈরি হয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। সাংসদদের আইন তৈরির অধিকার দেওয়া হোক। বিতর্কের চেহারা পাল্টে যাবে।’’ রাহুলের বক্তব্য, এই প্রথম ভারতের সমস্ত প্রতিষ্ঠানের উপরে আঘাত নেমে এসেছে। তাই ২০১৯-এ আদর্শের লড়াই হবে। এক দিকে বিজেপি, অন্য দিকে সমস্ত বিরোধীরা।
এর আগে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের অনুষ্ঠানে রাহুল বলেন, উত্তরপ্রদেশ আর বিহারে বিরোধীদের জোট হলে ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন না নরেন্দ্র মোদী। তাঁর যুক্তি, উত্তরপ্রদেশে এসপি, বিএসপি আর কংগ্রেসের মোট ভোট ৬০ শতাংশ। জোট হলে রাজ্যের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি পাবে ৫টি। উত্তরপ্রদেশের ৮০টি, বিহারের ৪০টি আসনে বিজেপি সফল না-হলে ভোটের গোটা ছবিটাই বদলে যাবে।
মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘‘এটা ভাল চিন্তা। কিন্তু মোদীজির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র অর্থ ১৫ জন বড় শিল্পপতিকে কিছু পাইয়ে দেওয়া।’’ তবে কংগ্রেস সভাপতির দাবি, শিল্পপতিরা এখন মোদীর থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন। সঙ্ঘের থেকে ভাবনা ধার করে মোদী নিজের সরকারেরই অজান্তে নোট বাতিল করেছিলেন বলে রাহুলের দাবি। শ্রোতাদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘‘উনিশের ভোটে ভারতের চাষি, ছোট ব্যবসায়ীদের আসল আওয়াজ শুনতে পারবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy