দিল্লি থেকে টিকিট নয়। প্রার্থীকে নিজের শক্তি প্রমাণ করতে হবে নিজ-কেন্দ্রেই। সভাপতি হয়েছেন দু’মাসও হয়নি। কংগ্রেসের ‘হাইকম্যান্ড সংস্কৃতি’তে বদল আনছেন রাহুল গাঁধী।
কোনও রাজ্যে ভোট এলেই নেতাদের ঢল নামা শুরু হত দিল্লিতে। ঘুরপাক খেতেন দিল্লির নেতাদের দরজায়-দরজায়। হত্যে দিয়ে পড়ে থাকতেন এআইসিসি সদর দফতরে। সভাপতি হয়েই দলের এই সংস্কৃতি বদলাতে সক্রিয় হয়েছেন রাহুল গাঁধী।
দলকে রাহুল জানিয়ে দিয়েছেন, দিল্লিতে এসে ঘুরপাক খেয়ে লাভ নেই। কোন কেন্দ্রে কে প্রার্থী হবেন, তার চূড়ান্ত অনুমোদন অবশ্য দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটিই করবে। কিন্তু প্রার্থীর নাম আসবে দলের ঠিক করে দেওয়া স্ক্রিনিং কমিটি থেকে। ভোটমুখী রাজ্যের জন্য তৈরি করা স্ক্রিনিং কমিটিকেই বলা হচ্ছে, দিল্লির কাছে নিয়ে আসুন প্রতি কেন্দ্রের একটি করে নাম। একান্ত প্রয়োজন না হলে বদল হবে না তা।
রাহুল-ঘনিষ্ঠ এক নেতার মতে, এর ফলে কোনও প্রার্থী যদি টিকিট পেতে আগ্রহী হন, তা হলে তাঁকে নিজের শক্তি প্রমাণ করতে হবে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রেই। কোন মাপকাঠিতে টিকিট দেওয়া হবে, তা স্ক্রিনিং কমিটিকে বলা হচ্ছে। রাহুলের এই ফরমানের পরে দিল্লিতে রাজ্য নেতাদের আসার ঢলও কমে গিয়েছে।
কংগ্রেসের নেতাটির কথায়, ‘‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করতে চান রাহুল। দিল্লি থেকে কিছু চাপিয়ে দেওয়ায় বিশ্বাসী নন। সভাপতি হওয়ার পরে দলের কাঠামোর সংস্কার করতে চাইছেন তিনি। টিকিট দেওয়ার বিষয়টি তারই প্রথম পদক্ষেপ।’’
সভাপতি হওয়ার পরে প্রতিদিনই বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা নেতাদের সঙ্গে নিজের বাড়িতে বৈঠক করছেন রাহুল। সংগঠনকে কী করে সাজানো যায়, কাদের দিয়ে কী কাজ করাতে চান সেগুলি পর্যালোচনা করছেন। দলের সূত্রের মতে, এর ভিত্তিতেই রাহুল নিজের নতুন টিম তৈরি করবেন। তাতে প্রবীণ অভিজ্ঞ নেতাদেরও যেমন রাখা হবে, তেমনই নবীনরাও জায়গা পাবেন। দলকে নতুন করে সাজাতে রাহুল ছ’মাস সময় চেয়েছেন।