সদ্য প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় কোথায়? এ বার খোদ রাহুল গান্ধী এই প্রশ্ন তুললেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘উনি কোথায় চলে গেলেন?”
গত ২১ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনে উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে জগদীপ ধনখড় ইস্তফা দিয়েছিলেন। তার পরে এক মাস কাটলেও ধনখড় প্রকাশ্যে আসেননি। কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
আজ উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইন্ডিয়া মঞ্চের প্রার্থী বি সুদর্শন রেড্ডিকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠানে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘ভুললে চলবে না, কেন নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হচ্ছে। পুরনো উপরাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করে কোথায় চলে গেলেন? কী এমন পরিস্থিতি যে, একটা শব্দও বলছেন না? লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে? যিনি রাজ্যসভায় ফেটে পড়তেন, তিনি পুরোপুরি নীরব!’’
আজ সংবিধান সদনের সেন্ট্রাল হলে বিরোধী সাংসদদের সামনে প্রাক্তন বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি আন্দোলনের গুরুত্ত্ব বোঝাতে রাম মনোহর লোহিয়াকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, ‘‘যদি সড়ক নীরব হয়েযায়, তা হলে সংসদ নিরুদ্দেশ হয়ে যাবে।’’
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আইনজীবী-সাংসদেরা তাঁর বেঞ্চে সওয়াল করতেন— তা নিয়েও স্মৃতিচারণ করেন তিনি। রাহুল বলেন, রেড্ডি তেলঙ্গানায় কংগ্রেস সরকারের জাতগণনার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গত ৫২ বছর ধরে তাঁর পকেটে সব সময় সংবিধান থাকে। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনও সংবিধানের পক্ষে ও বিপক্ষের লড়াই।
মোদী সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীদের ৩০ দিন জেলে থাকলেই অপসারণের বিল নিয়ে রাহুল বলেন ‘‘আমরা মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছি, যেখানে রাজা নিজের পছন্দ মতো কাউকে সরিয়ে দিতে পারে।’’ বিহারের ভোটার অধিকার যাত্রার এক দিনের বিরতিতে বুধবার দিল্লিতে এসেছিলেন রাহুল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিহারে ভোট চুরির প্রসঙ্গ আগুনের মতো ছড়িয়েছে। সবাইকে বিহারে গিয়ে দেখার জন্য আহ্বান করছি। বিজেপি ভেবেছিল, মহারাষ্ট্রের মতো বিহার, পশ্চিমবঙ্গে ভোট চুরি করবে। এখন আর তা মনে হচ্ছে না।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)