গুজরাতে মোদী-মডেলকে প্রায় কোণঠাসা করে এ বারে দলের রাশ শক্ত হাতে তুলে নিলেন রাহুল গাঁধী। দলকে শৃঙ্খলায় বেধে, একজোট করে, সংগঠনে নতুন মুখ এনে চাঙ্গা করতে কাল থেকেই ফের ঝাঁপাচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি।
কালই সোমনাথ মন্দির দর্শন করে ফের গুজরাত সফর শুরু করছেন রাহুল। বিধানসভা ভোটের নিরিখে প্রায় দশটির মতো লোকসভা আসনও এখন বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছেন বলে জানাচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা। এমন অবস্থায় সভাপতি হিসেবে আজই প্রথম দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, দলে কোনও বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। দলে নতুন মুখ আনা হবে। একজোট হয়ে লড়তে হবে নরেন্দ্র মোদীর ফাঁপা, মিথ্যা মডেলের বিরুদ্ধে।
রাহুল আজ বলেন, গুজরাতের প্রচারে গিয়ে তাঁর চোখ খুলে গিয়েছে। কী ভাবে ঘৃণা আর মিথ্যা ছড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী ভোটে লড়েন, তা চাক্ষুষ করেছেন। তার মধ্যেই কংগ্রেসের সাফল্য হল— মোদীর উন্নয়নের ফাঁপা মডেলকে তছনছ করে দেওয়া গিয়েছে। রাহুল বলেন, মিথ্যা এমন ভাবে বারবার প্রচার করা হয়, যত ক্ষণ না মানুষ সেটিকে সত্যি ভাবতে শুরু করেন। কিন্তু সুখবর হল, এখন গোটা দেশের মানুষ মোদীকে প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন। রাহুলের কথায়, দলকে একজোট রেখে যখন মৌলিক প্রশ্নগুলি তোলা হয়েছে, তাতে ছত্রভঙ্গ হয়ে শেষ দিকে পদে পদে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টায় নেমে পড়ে বিজেপি। বৈঠকে মনমোহন সিংহও আজ রাহুলের সুরে নরেন্দ্র মোদীর ‘বিভাজনের’ রাজনীতি নিয়ে সতর্ক করেন। বলেন, গুজরাতের শহরাঞ্চলে এর আগে কংগ্রেস ভাল ফল করলেও এ বারে হয়নি। সেখানেও বাড়তি নজর দরকার।
মোদী সম্পর্কে মণিশঙ্কর আইয়ারের ‘কুকথা’ গুজরাতে দলকে বিপাকে ফেলেছে। তেমন ঘটনা যে আর বরদাস্ত করা হবে না, সাফ জানিয়ে দেন রাহুল। কংগ্রেস সূত্রের মতে, নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থেকে দলের সভাপতি এখন চান সময় বেঁধে সব ক’টি রাজ্যে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে। দলের অনেকেই মনে করেন, গুজরাতে এক স্থানীয় ওজনদার নেতা থাকলে খেলা ঘুরে যেত। কাল গুজরাতে গিয়ে রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে ফলের চুলচেরা বিশ্লেষণ করবেন। এখনই লোকসভা ভোটের জন্য তৈরি হতে বলবেন।
ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরাও আজ একযোগে রাহুলকে বলেছেন, দলে উদ্দীপনা এসেছে। এবারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাহুলকে। যাই সিদ্ধান্ত নিন, তাঁরা সঙ্গে আছেন। আনা হোক নতুন মুখও।
রাহুলও বলেন, গুজরাতে যে মনোবল চাঙ্গা হয়েছে, সেটিকেই এগিয়ে নিয়ে গিয়ে গ্রাম-শহর, জনতার মধ্যে গিয়ে ব্যাপক আন্দোলনে নামবে দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy